খায়রুল আলম : স্থানীয় সরকার নির্বাচনে না যাওয়া বিএনপির রাজনৈতি সিদ্ধান্ত। যেহেতু জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। ভোট কারচুপি হয়েছে বলে তারা মনে করে, তাই তাদের এ সিদ্ধান্ত। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপির যাওয়া উচিত ছিলো বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ বোরহান কবীর।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য একমাত্র মাপকাঠি নয়। তবে গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন খুব জরুরি একটি অনুষঙ্গ। তবে একমাত্র অনুষঙ্গ নয়। একটি কথা আছে, ‘সব চেয়ে খারাপ গণতন্ত্র, গণতন্ত্রহীনতার চেয়ে ভালো’। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যেহেতু স্থানীয় সরকার শাসন করে, তাদের হাতে যেন নেতৃত্ব থাকে সে জন্য স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হয়েছিলো। আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিলো, উপজেলা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকতে হবে। এটি নিয়ে হাইকোর্ট থেকে একটি রায় দেয়া হয়েছিলো, সকল স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে। আগামী উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি আসলে ভালো হতো। তারা যেহেতু আসেনি, তবু নির্বাচনী প্রক্রিয়াটি চালু রাখতে হবে। কারণ নির্বাচন না হলে, প্রতিনিধি না থাকলে, স্থানীয় সরকারের ক্ষমতা থাকবে টিএনওর হাতে। পৃথিবীর অনেক দেশেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সমস্যা ও টানাপোড়ন হয়। সর্বশেষ ভারতের পশ্চিম বাংলার স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও এমনটি হয়েছে। যেখানে তৃণমূলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। কাজেই গণতন্ত্র কখনো একই ধারাই চলে না। এটি বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়। গণতন্ত্রে কখনো জোয়ার ভাটা আসে আবার কখনো ¯্রােত কম বেশি হয়, দিন রাত হয়। এসব কিছু না থাকলে গণতন্ত্রের মহত্ত্ব থাকতো না।
আপনার মতামত লিখুন :