খালিদ আহমেদ : নিয়ন্ত্রণহীন মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগান দেয়ার অভিযোগ এনে সৌদি আরবকে হুমকি মনে করে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বুধবার এক বিবৃতিতে ইইউ এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সৌদি আরবের দুটি আলাদা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করে।
তথ্যে জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রিয়াদকে খসড়া কালো তালিকার আওতায় এনেছে। প্যারিসভিত্তিক নজরদারি সংস্থা ফিন্যানসিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ’র মানদ- অনুসারে ইইউ এরইমধ্যে ১৬টি দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
তবে সৌদি আরবকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তালিকার আওতায় আনতে হলে ইউরোপীয় জোটের ২৮ সদস্যের সবার সম্মতি লাগবে। আগামী সপ্তাহে ওই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। তার আগে ২৮ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন।
কালো তালিকাভুক্তির ফলে ইইউর অর্থপাচারবিরোধী আইনের আওতায় যেসব ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এসব দেশের গ্রাহক এবং প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
কালো তালিকায় সৌদি ছাড়াও রয়েছে, আফগানিস্তান, আমেরিকান সামোয়া, দ্য বাহামাস, বতসোয়ানা, উত্তর কোরিয়া, ইথিওপিয়া, ঘানা, গুয়াম, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, পানামা, পুয়ের্তো রিকো, সামোয়া, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, তিউনিশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিন দ্বীপ ও ইয়েমেন।
খাতিম্যান সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর সৌদি আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরফ থেকে চাপের মুখে রয়েছে। ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের নির্দেশে ওই হত্যাকা- হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :