রাশিদ রিয়াজ : মার্কিন অর্থবিভাগ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রথমবারের মত দেশটির জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২২ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে এ ঋণের পরিমাণ ২২.০১২ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ এ ঋণের পরিমাণ ২২ লাখ কোটি ডলারেরও বেশি। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন সরকারের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ২.০৬ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়েছে। ওই সময় মার্কিন জাতীয় ঋণের পরিমাণ ছিল ১৯.৯৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমান বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কর হ্রাস এবং অভ্যন্তরীণ ও সামরিক কর্মসূচিতে ব্যয় বৃদ্ধিকে চিহ্নিত করেছেন দেশটির অর্থনীতিবিদরা। মার্কিন থিংক ট্যাংক পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশনের প্রধান মাইকেল পিটারসন বলেছেন, জাতীয় ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াটা উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে; এতে প্রতিটি মার্কিন নাগরিকের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকিতে পড়েছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারির শুরুর চাইতে এ মুহুর্তে মার্কিন জাতীয় ঋণ আরো ৩০ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ইউএস কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস বলছে দেশটির বাজেট ঘাটতি এ বছর ১’শ বিলিয়ন বেড়ে ৯’শ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে। আগামী দশকে এ বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি’র ৪.১ থেকে ৪.৭ শতাংশে পৌঁছাবে। এছাড়া মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরীণ ব্যয় বরাদ্দ এ বছর ২০.৮ শতাংশ থেকে ২০২৯ সাল নাগাদ ২৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। বলা হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে সরকারের অচলাবস্থা মোকাবেলা করতে না পারায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে ৫৭০ কোটি ডলার বরাদ্দ না পেলে ট্রাম্পের অনুমোদন অনিচ্ছায় তার সরকারের ৩৫ দিনের অচলাবস্থায় ১১’শ কোটি ডলার ক্ষতি হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ বৃদ্ধির জন্যে ট্রাম্প তার আগের ওবামা সরকারের দোষারোপ করছেন। এছাড়া চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্যে কোনো সহায়ক ভূমিকা রাখবে না বলেও মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন যে দেড় ট্রিলিয়ন কর ছাড়ের ঘোষণা দেয় তার অনুকূলে আকাঙ্খিত বিনিয়োগ আসেনি।
আপনার মতামত লিখুন :