জিয়ারুল হক : জনপ্রিয় হচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং। লেনদেন সহজ হওয়ায় ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে মানুষের কাছ থেকে। শহুরে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা গ্রামীণ মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়াই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মুল উদ্দেশ্য। বলছিলেন ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং প্রধান আকতার হামিদ। একাত্তর টিভি
তিনি বলেন, চার বছরে এজেন্ট ব্যাংকিং যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা পঁচিশ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। এটি কিন্তু বিশাল একটি ব্যাপার। এবং মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা রেখেছে গ্রাহকেরা আস্থার সাথে। আমরা চেষ্টা করছি জমা-উত্তোলন ছাড়াও অন্য সেবাগুলো যেমন, বিভিন্ন পরীক্ষার ফি, আয়কর, বিভিন্ন পরিসঞ্চলন বিলসহ অন্যান্য সেবা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে।
তার দাবি ১৯টি ব্যাংক চলে এসেছে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায়। ৬৫০০ অধিক এজেন্টের মাধ্যমে এই সেবা দেয়া হচ্ছে। আশাকরি বাকি ব্যাংকগুলোও তাদের ব্যবসার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে চলে আসবে এই সেবায়। তবে, এজেন্ট নির্বাচন থেকে শুরু করে কমিশন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এজেন্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকায় খোঁজ নিয়ে এজেন্টের সম্পর্কে তথ্য যাচাই বাছাই করতে হবে। এজেন্টের ব্যসায়িক পরিচিতি, শিক্ষাগত যোগ্যতা, এলাকার পরিচিতি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ে ভালোভাবে যাচাই করেই এজেন্ট নিয়োগ দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে এজেন্টদের বিভিন্ন ট্রেনিং প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে ব্যাংকিংয়ে দক্ষ করে দিতে হবে। এতে ব্যবসার মান বাড়বে এবং গ্রাহকের সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। গ্রাহক আস্থা পাবে ব্যাংক ও এজেন্টের উপর।
গ্রাহকের নিরাপত্তার ব্যাপারে তিনি বলেন, গ্রাহক নিশ্চিত থাকতে পারে এমন ব্যবস্থাই ব্যাংকগুলোর নেয়া উচিত। কারণ, গ্রাহক যদি আস্থা না পায় তাহলে কেনো তিনি টাকা জমা করবেন বা লেনদেন করবেন। তবে আশার কথা হলো এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে টাকা উত্তোলনে স্বাক্ষরের ব্যাপার নেই, ফলে এখানে ঝুঁকি নেই বললেই চলে। তিনি বলেন এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে হয়। কারো আঙ্গুলের ছাপ কারো সঙ্গে মিলবে না। গ্রাহক এখানে পূর্ণ নিরাপত্তা পাচ্ছেন। এরপরেও কোন অভিযোগ আসলে আমরা দ্রুততম সময়ে সেটি সমাধান করার চেষ্টা করি।
আপনার মতামত লিখুন :