মঈন মোশাররফ : বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইন্দ্রানী বাগচি বলেছেন, তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইস্যু। ভারতের রাজনৈতিক ইস্যু নয়। তিস্তা নিয়ে যে ভারতের অবস্থান পাল্টাবার নয়, সেটা উভয় দেশই জানে। মিয়ানমার একটা সার্বভৌম দেশ, মিয়ানমার যদি রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে না চায়, তাহলে জোর করে কিছু করা যাবে না। ভারত এক্ষেত্রে তেমন কিছু করতে পারে না ।
বুধবার ডয়চে ভেলেকে তিনি আরো বলেন, তিস্তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যেটা বলেছিলেন, পানিবণ্টনই যদি ইস্যু হয়, তাহলে শুধু তিস্তা নদী কেন, আরো তিনটি নদী আছে । সেইসব নদীর পানি শেয়ার করা যেতে পারে । দ্বিতীয়ত, পলিমাটিতে তিস্তার নদীর নাব্যতা এবং গভীরতা কমে গেছে।
তিনি বলেন,বাংলাদেশ চাইছে ভারত সরকার যেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের ওপর আরেকটু বেশি চাপ দেয়, যাতে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াটি আরেকটু সহজ হয়। ঢাকা মনে করে, ভারত এবং চীন মিয়ানমারের ওপর যথেষ্ট চাপ দিলে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে পারে। তবে এখনো সেই চাপ দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর হচ্ছে, ক‚টনৈতিক প্রেশার জিইয়ে রাখা, যাতে নতুন সরকারের ওপর গোড়া থেকেই এই নিয়ে চাপ বাড়ানো যায়। কারণ, ঢাকাও জানে, নির্বাচনের মুখে দাঁডিয়ে দিল্লির পক্ষে বিশেষ কিছু করা সম্ভব নয়। তার ওপর মোদী-মমতার সম্পর্ক তলানিতে। একে অপরের বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে । এ পর্যায়ে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এলে এই দুই ইস্যুর সমাধান করে দেখাবে বলে মনমোহন সিং যা বলেছেন, সেটা সরকারবিরোধী দলের নেতা হিসেবেই বলেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :