মুহাম্মদ মাসুদ : গণসাক্ষরতা আন্দোলনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, কোচিংএ যারা যাচ্ছে, তাদের ওপর সমীক্ষা চালানো হলে বোঝা যাবে তাদের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি কোন অবস্থায় আছে। সেখানেই বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি যে কোচিং করলে বেশি নাম্বার পাওয়া যায়। এটার কোনো ভিত্তি নেই। কিন্তু আমরা ছুুটছি মরিচিকার পেছনে। ফলে যে ক্ষতিটা করছি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়, সেটা উচ্চ আদালতও কিন্তু বলেছেন তাদের পর্যবেক্ষণে। সোমবার ডিবিসি নিউজের ‘রাজকাহন’ অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, কোচিং বাণিজ্যের প্রধান কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ত্রুটি।
তিনি বলেন, কারণ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতায় টপে। তার প্রথম কারণ হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাপ, দ্বিতীয় হচ্ছে কোচিংয়ের চাপ তৃতীয় হচ্ছে অভিবাবকের চাপ। পুঁজিবাদকে দায়ী করে আমরা নিজেদের দায় এড়িয়ে যাব এটা হতে পারে না। আমার সংবিধান কিন্তু বলে মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আরেকটা বিষয় নিশ্চিত করেছে যে শিক্ষা কখনও পণ্য হতে পারে না। সেখানেই কিন্তু আদালতের নির্দেশনা কোচিং বাণিজ্য, কোচিং সর্বত্র আছে সবজায়গায় চলে আসছে। এটি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানবধিকার লঙ্ঘনের জায়গায় চলে যায়। বৈষম্য তৈরির আরেকটি জানালা তৈরি হয়। জালানা নয় দরজা তৈরি হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, ৪ টি পাবলিক পরীক্ষার বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে উচ্চতর পর্যায়ে যাওয়ার পূর্বে। সেই পাবলিক পরীক্ষায় আমাদের সারা মাঠে ময়দানে পরিচালিত গবেষণা কেন্দ্র আছে। ২০১৫ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষাকে ঘিরে গবেষণায় দেখা গেছে ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী কোচিংয়ে যায়। সে জায়গায় কেনো যায়, সেটা কি পুঁজিবাদ। না উচ্চ আদালতের কথা শিক্ষা ব্যবস্থায় ত্রুটি। সেই ত্রুটি চিহ্নিত করে আমাদেরকে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে।
তিনি বলেন, আদালত কিন্তু কোচিং সেন্টার বন্ধ করার কথা বলেননি, বলেছেন নীতিমালা করতে স্কুলের শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন না এটা মনিটরিং কতটুকু সম্ভব প্রসঙ্গে বলেন, কোচিং বাণিজ্য হিসেবে প্রচলিত হয়ে গেছে কিছুঅসা অসাধু শিক্ষকের কারণে। কোনো নীতিমালা না মেনেই, নিয়ন্ত্রন ছাড়াই ফলে জনমনে নেতিবাচক ভাবমূতি তৈরি হয়েছে। এটা দুর করার দায়িত্ব ওনাদেরই কিছু অসাধু শিক্ষকের জন্য সব শিক্ষক খারাপ হয়ে গেছেন এটা ঠিক না।
আপনার মতামত লিখুন :