ওমর ফারুক : বাংলাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ে যে হাজার হাজার স্কুল আছে সেখানে ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে স্কুলের অনুষ্ঠানগুলো ও থাকবে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে। বিবিসি বাংলা কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা জানালেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন, এখন থেকে আর আগের মতো বছর জুড়ে এক শ্রেণিতে একজন ক্যাপ্টেন থাকবেনা। তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে স্কুলগুলোতে। এগুলো হলো- নেতৃত্ববোধ, দায়িত্ববোধ ও পরিচ্ছন্নতা।
"সবার মধ্যেই যেনো এসব গুণাবলী তৈরি হয় সেজন্য বছরে একজন ক্লাস ক্যাপ্টেনের পরিবর্তে প্রতি তিন মাস পর পর ক্যাপ্টেন পরিবর্তন করা হবে।"
"এতে করে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবে, যা তাদের মধ্যে নেতৃত্ববোধ তৈরি করার পাশাপাশি তাদের ভালো সংগঠকে পরিণত করবে"।
বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোতে সাধারণত বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলে যারা শীর্ষে থাকে তাদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব দেয়া হয় । এসব ক্যাপ্টেনরা স্কুলে তাদের শে্িরণ কার্যক্রম ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষকদের সহায়তা করে থাকে।
কিন্তু এখন মাউশি বলছে, শুধু পরীক্ষার রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে একজনকে নয় বরং প্রতি তিন মাস পর পর ৩/৪ জনকে এ দায়িত্ব দিতে হবে। "এর ফলে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী নেতৃত্ববোধের প্রশিক্ষণ পাবে শ্রেণিকক্ষ থেকেই," বলছিলেন আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় গুণগত শিক্ষার ওপর জোর দেয়া হয়েছে অর্থাৎ শুধু ভালো ফল নয় বরং একজন শিক্ষার্থী ভালো মানুষ হবার সুযোগ পাচ্ছে কি-না সেটিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
শিক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলছেন নির্দেশনাগুলো কার্যকর হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
"এতে করে অনেক বেশি শিক্ষার্থী নেতৃত্বগুণ অর্জনের দীক্ষা পাবে এবং তারা শ্রেণি কার্যক্রমে আরও সম্পৃক্ত হবার সুযোগ পাবে"।
আপনার মতামত লিখুন :