কায়কোবাদ মিলন : বিশ্বকে সবুজাভ করে তুলতে চীন ও ভারতের ভূয়শী প্রশংসা করেছে নাসা। নাসা তাদের শক্তিশালী স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবির উল্লেখ করে বলেছে, বাতকে বাত বলতে গেলে ২০ বছর আগের তুলনায় পৃথিবী এখন অনেক বেশি সবুজাভ। ইয়োন
চীন ও ভারতের বিশাল সবুজ এলাকার কথা উল্লেখ করে নাসার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই দেশের জনসংখ্যাও পৃথিবীর মধ্যে সবচে বেশি। স্পেস এজেন্সি নাসা বলেছে, তারা দুটি শক্তিশালী স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গাছপালা সমৃদ্ধ ভারত ও চীনের সবুজাভ অঞ্চল চিন্থিত করেছে। মোডিস ও স্পেকট্রোরেডিওমিটার নামীয় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নাসা উক্ত দুই দেশের বিকাশমান বনভূমি চিন্থিত করে।
নাসা উল্লেখ করেছে, আমাজন রেইন ফরেস্টের সমান পরিমাণ বনভূমির অস্তিত্ব তারা ভারত ও চীনে লক্ষ্য করেছে। নাসা তাদের রিপোর্টে বলেছে, গত ২০ বছরে বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে সবুজাভ এলাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন চি চেন। তিনি বোষ্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সংক্রান্ত বিভাগের শিক্ষক। তার মতে, পৃথিবীর সবুজাভ এলাকার মধ্যে এক তৃতীয়াংশ রয়েছে ভারত ও চীনে।
নাসা বলেছে , তাদের রিপোর্টের একটি লক্ষ্যযোগ্য দিক হল, চীন ও ভারত ২০০০ সালের পর তাদের কৃষি খাতে জমি বাড়ায়নি বটে কিন্তু তাদের দেশে সবুজাভ এলাকা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই দুই দেশের কৃষি জমির এলাকা যৌথভাবে ৭লাখ ৭০ হাজার বর্গমাইল কমবেশি রয়ে গেছে কিন্তু তারা উভয়ই বিস্ময়করভাবে তাদের সবুজ অঞ্চল প্রতিবছরই বাড়াতে পেরেছে। ওই দুই দেশ খাদ্য উৎপাদনও বাড়িয়েছে বলে নাসা জানায়।
ভারতে সবুজাভ অঞ্চল বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে নাসা বলেছে ,ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করতে পারাই এর নেপথ্যে। এভাবে ভারত তার খাদ্য উৎপাদনও বাড়িয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে , ভারতে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ হ্রাস পেলে এই অর্জন হয়ত থাকবে না। নাসার ভাষ্য, চীনে সবুজ এলাকা প্রসারের মূলে রয়েছে সংরক্ষিত বনায়নের ব্যাপারে তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি এবং বনাঞ্চল সম্পসারনের নীতি বাস্তবায়ন। নাসা বলেছে, ভারত শষ্য উৎপাদনে ব্যাপক মনোযোগি হয়েছে। ভারত যে সবুজাভ হয়ে ওঠার পদবি পেয়েছে তার মূলে ৮২ শতাংশ কারণই হল শষ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা।
নাসা বলেছে ২০০০ সালের পর চীন ও ভারত তাদের শষ্য, ফল, সবজি উৎপাদন ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। যেহেতু তাদের জনসংখ্য বিশাল , ফলে শষ্য উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি তার সবুজ এলাকাও বাড়িয়ে চলেছে।ু
আপনার মতামত লিখুন :