আসাদুজ্জামান সম্রাট : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় সেতু-কালভার্ট নির্মাণে বরাদ্দের ক্ষেত্রে সমবণ্টন করা হচ্ছে না বলে সংসদে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া সোলার সিস্টেম দুই মাস পরেই অকেজো হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন এমপিরা।
মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের আবব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে সমতা মানা হচ্ছে না। কোনো উপজেলায় ১০টি সেতু-কালভার্ট হচ্ছে, আবার কোথাও তিনটাও হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম হয়ে আসছে। এই বৈষম্যমূলক নীতিমালা থেকে বের হয়ে সমবণ্টনের ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে কিনা।
জ্যাকবের প্রশ্নের জবাবে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর ইতোমধ্যে আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন-এখন থেকে ইউনিয়ন ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে যেন সেতু-কালভার্ট নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সংসদে সরকারি দলের হুইপ আতিউর রহমান আতিক সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, প্রতিটি নির্বাচনী আসনে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বছরে যেই বরাদ্দ যায় সেটির অর্ধেক অর্থ যায় সোলার সিস্টেম খাতে। প্রথম যখন এটা স্থাপন করা হয় তখন দেখতে সুন্দরই লাগে, কিন্তু দুই মাস পরেই এটা অকেজো হয়ে যায়। ফলে সোলার সিস্টেমের পুরো অর্থই অপচয় হচ্ছে। বরং এই টাকা রাস্তা-ঘাট ও সেতু-কালভার্ট নির্মাণে ব্যয় করা হকো। আতিকের বক্তব্যে টেবিলে চাপড়ে সমর্থন দেন সংসদে উপস্থিত থাকা বেশিরভাগ এমপি।
আতিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, আমিও মনে করি সকল সংসদ সদস্য এ ব্যাপারে একমত। এছাড়া সংসদেও অনেক এমপি ব্যক্তিগতভবে বিষয়টি আমাকে বলেছেন। কিন্তু এটা সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের গৃহীত একটি প্রকল্প। আমি আপনাদের এই অভিমত নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরবো। নতুন সিদ্ধান্ত আসলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশ্য জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে এই সোলার সিস্টেম ভূমিকা রাখে।
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সরকারি দলের এমপি মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী সংসদকে জানান, ‘গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে আরও ১৩ হাজার সেতু/কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।