ফরহাদ আমিন, টেকনাফ (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির অভিযানে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা কালে ৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার ও ৫ জন সন্দেহভাজন দালালকে আটক করা হয়েছে।
টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরী জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভোররাতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায় যে, দুইটি মানব পাচার চক্র বাংলাদেশে বসবাসকারী কিছু রোহিঙ্গা নাগরিক অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় সমুদ্রপথে পাচার করার জন্য টেকনাফস্থ খুরেরমুখ অস্থায়ী চেকপোষ্টের আওতাধীন মহেশখালীপাড়া এবং মাঠপাড়া এলাকায় জমায়েত করা হয়েছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ খুরেরমুখ অস্থায়ী চেকপোষ্ট হতে হাবিলদার মোঃ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহলদল মহেশখালীপাড়ায় এবং ব্যাটালিয়ন সদরের একটি টহলদল মাঠপাড়া এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে সকালে টেকনাফস্থ মহেশখালীপাড়া এলাকায় টহলদল পৌছে দেখতে পায় যে, ১জন দালাল ও ৪ জন (পুরুষ) রোহিঙ্গা নাগরিক সমুদ্রপাড়ে নৌকার জন্য অপেক্ষায় জড়ো হয়ে আছে।
এসময় টহলদল তাদেরকে ঘেরাও করে আটক করতে সক্ষম হয়। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর নৌকাটি সমুদ্রপাড়ে আসলে টহলদল নৌকাটি জব্দ করে এবং নৌকার মাঝিকে আটক করা হয়।
অপরদিকে একই দিনে ব্যাটালিয়ন সদরের টহলদল মাঠপাড়া এলাকার মোঃ এখলাছের ছেলে মোঃ মুন্নাসহ এর বসতবাড়িতে একসাথে ৩ জন দালাল ও ২ জন রোহিঙ্গা নারীকে নৌকার জন্য অপেক্ষমান অবস্থায় আটক করতে সক্ষম হয়। অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামী মোট ৬জন রোহিঙ্গা নাগরিক উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ২জন নারী রয়েছে।
উল্লেখিত, রোহিঙ্গা নাগরিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা যায়, তারা টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে বসবাস করে এবং দালালদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় গমন করছিল।
এছাড়াও আটককৃত সন্দেহ ভাজন দালালদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মানব পাচার চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য সক্রিয় দালালদেরকে আটক করার ব্যাপারে অভিযান চলমান রয়েছে। আটককৃত সন্দেহ ভাজন দালালরা হচ্ছেন, টেকনাফ সদরের মহেশখালিয়া পাড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে মোঃ মামুন (২৭) ও সহোদর নৌকার মালিক নুরুল আবছার (৩৫),শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রি পাড়া এলাকার ওলি আহমদের ছেলে মোঃ ইউনুস(৩২),দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত নজির আহমদের ছেলে মোঃ আমিন (৪৯). টেকনাফ সদরের মাঠপাড়া এলাকার আশ্রয়দাতা ও নৌকার মালিক মোঃ মুন্না (৩৫), কে আটক করা হয়। মানব পাচারের সাথে জড়িত সন্দেহভাজন দালালদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :