মাহফুজুর রহমান :আমেরিকা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদকে অনেক চেষ্টা করেও ক্ষমতা থেকে সরাতে ব্যর্থ হয়ে এবার কোমর বেঁধে নেমেছেন ভেনিজুয়েলার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে সরাতে। আমেরিকা একতরফাভাবে বিরোধী দলীয় নেতা গুয়াইদোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরে তা আরও নাটকীয় মোড় নেয়। আমেরিকা নিজে গুয়াইদোকে প্রেসিডেন্ট ডিক্লেয়ার দেয়ার পরে ইউরোপের প্রায় রাষ্ট্র সেই পথেই হাঁটা শুরু করেছে। এদিকে ভেনিজুয়েলার সুপ্রিম কোর্ট গুয়াইদোকে অবৈধ প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করেছে, সাথে সাথেই সরকার গুয়াইদোর ব্যাংক একাউন্ট ও পাসপোর্ট সিজ করেছে। তবে সরকার গুয়াইদোকে গ্রেপ্তার হয়তোবা করতে পারেনি। এদিকে রাশিয়া, চীন, ইরান ও তুরস্ক মাদুরোকে অব্যাহত সমর্থন দিয়েই যাচ্ছে। আমেরিকা গুয়াইদোর সমর্থকদের সমর্থনে কিছু অস্ত্র ও নানান সামগ্রী সাহায্য হিসাবে পাঠালে মাদুরো সরকার তা সীমান্তে প্রবেশ করতেই দেয়নি। ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটন আমেরিকার ব্যাংকে ভেনিজুয়েলার তেলের গচ্ছিত অর্থ গুয়াইদোকে দিবার ঘোষণা দিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক ব্যাংক আইনে কতোটুকু গ্রহণযোগ্য তা কে জানে! আবার এদিকে ভেনিজুয়েলা তার তেল বিক্রয়ের একাউন্ট রাশিয়ায় স্থানান্তর করেছে, আর ভেনিজুয়েলার তেলের গ্রাহকদের রাশিয়ার উল্লেখিত ব্যাংকে তেলের অর্থ জমা করতে চিঠিও দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা ঠিক বুঝতে পারছিনা যে, দুনিয়াতে গুটিকয়েক ছাড়া আর কোনো দেশের বুকের পাটা কতোটুকু আছে যে আমেরিকার হুকুমের বাইরে গিয়া তেল কিনবে? আমেরিকা আসাদের সিরিয়া থেকে লেজ গুটিয়ে আসার পরে এই ভেনিজুয়েলাতেই স্থিতি হলো, এখন দেখার বিষয় রাশিয়া এখানে কি করতে পারে। ওদিকে ইয়ামেনে শিয়া হুতি সৈন্যদের কাউন্টার হিসেবে ইয়ামেনি আল কায়দা গঠিত হয়েছে, যারা ইউরোপ ও আমেরিকার সামরিক সহযোগিতা পাচ্ছে। এখানেও আমেরিকা সৌদি আরবকে দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে সামরিক হস্তক্ষেপে উৎসাহিত করছে। যেখানে বাংলাদেশ তাদের সেনা পাঠাচ্ছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :