শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:২১ সকাল
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রম্য : মিথ্যা বলার মেশিন

লুৎফর রহমান হিমেল : মিথ্যা বলেননি এমন মানুষ খুঁজে বের করা কঠিন। মিথ্যা মা-ও বলে। যখন সে না খেয়ে সন্তানকে সেই খাবার দিয়ে বলে যে তার পেট ভরা, সেটিও মিথ্যা, তবে সাদা বা ভালো মিথ্যা সেটি। তো সেই হিসেবে মিথ্যা না বলা মানুষ পাওয়া এই দুনিয়ায় দুষ্কর। মিথ্যা বলার মাত্রাটা বেড়ে গেছে প্রযুক্তির আগমনের জন্য, বিশেষ করে মোবাইল ফোনের কল্যাণে। আমরা সারাদিন মোবাইল ফোনে কথা বলি। কথা বেশি বললে, মিথ্যা বলার পরিমাণও বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। যতো কথা, ততো মিথ্যা।
বাংলাদেশের মানুষের হাতে এই মুহূর্তে ১৪ কোটি ৭ লাখ ১৩ হাজার মোবাইল সিম রয়েছে। বিটিআরসির তথ্য এটা। ভাবা যায়! ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৪ কোটি মোবাইল সিম! মিথ্যা নিয়ে অজ¯্র গল্প প্রচলিত আছে। এ নিয়ে দুটি গল্প শেয়ার করি। এক ব্যক্তি মারা গেলেন। তিনি স্বর্গে গিয়ে দেখলেন একটা বিশাল দেয়াল। সেই দেয়ালে টাঙানো আছে অসংখ্য দেয়াল ঘড়ি! এসব দেখে স্বর্গবাসী ব্যক্তি স্বর্গের দূতকে জিজ্ঞেস করলেন, এখানে এতোগুলো ঘড়ি টাঙানো কেন? একটি ঘড়ি হলেই তো চলে। স্বর্গদূত বললেন, এগুলো হলো মিথ্যা মাপার ঘড়ি। প্রত্যেক মানুষের জন্য একটা করে মিথ্যার ঘড়ি দেয়ালে টাঙানো আছে। দুনিয়ায় থাকা অবস্থায় কেউ যদি একটি মিথ্যা কথাও বলে থাকে, তাহলে ঘড়িটি একবার, দুইটি বললে দুইবার- এভাবে ঘুড়বে। এভাবে যে যতোবার মিথ্যা বলবে তার ঘড়ি ততোবার ঘুরবে। মৃত ব্যক্তি বললেন, ওই যে ঘড়িটি দেখতে পাচ্ছি, ওটা কার? থেমে আছে দেখছি! দূত বললেন, ওহ। ওটা মাদার তেরেসার ঘড়ি। তার ঘড়িটি একটিবারও ঘোরেনি। তার মানে তিনি দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় একটিও মিথ্যা কথা বলেননি।
মৃত ব্যক্তি এবার কৌতুহলী হয়ে উঠলেন। বললেন, বাংলাদেশের নানা পেশার মানুষদের ঘড়িগুলো দেখতে চাই। সেগুলো কোথায়? দেখতে পাচ্ছি না যে? দূত বললেন, তাদের ঘড়িগুলো আর এখানে রাখিনি। আমাদের মেইন অফিসে রেখেছি। এগুলো এখন এতোটা বেশিমাত্রায় ঘুরছে যে, সেগুলোর কাটার সাথে পাখা লাগিয়ে আমরা টেবিলফ্যান হিসেবে ব্যবহার করছি। যাই হোক, মোবাইল ফোনের কথা বাদ দিলাম। ফেসবুকের সক্রিয়তা নিয়ে করা র‌্যাংকিংয়েও নাকি আমরা শীর্ষস্থানে। তাহলে এখানেও নিশ্চয়ই আমরা স্বর্গের ফ্যান ঘোরানোতে শীর্ষস্থানেই থাকবো।
এবার দ্বিতীয় গল্পে যাই। বেশি রাতে ছেলে বাড়ি ফিরেছে। বাবা রেগে আছে। বাবা ছেলেকে ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করলোÑকোথায় ছিলি রে হারামজাদা? ছেলে মুখস্থ জবাব দিলো, আমি আমার বন্ধুদের বাসায় ছিলাম। পড়ালেখার ব্যাপারে গিয়েছিলাম। বাবা তখনই ছেলের কয়েকজন বন্ধুকে ফোন দিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলেন। বাবা চারজন বন্ধুকে একে একে ফোন দিলে তারা যে জবাবগুলো দিলো সেগুলো ছিলো এরকমÑচতুর্থ বন্ধু বললো : জ্বি, আঙ্কেল! সে তো আমার সাথেই ছিলো। তৃতীয় বন্ধু বললো : ও কিছুক্ষণ আগেও ছিলো, এরপর চলে গিয়েছে! দ্বিতীয় বন্ধু বললো : চাচা, ও আমার সাথেই আছে এবং আমরা দুজন অংক করছি। ওরে বাপরে, কি কঠিন অংক! এবং সর্ব শেষের জন সব লিমিট ক্রস করে ফেললো আর বললো, ‘হ্যাল্লো আব্বু, আমার আজ রাতে আসতে দেরি হবে!’ লেখক : সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়