শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:৩৫ সকাল
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা গায়েবের সঙ্গে ‘সরকারের লোকজন এবং চীনা কোম্পানি জড়িত’ বলেছেন,আনু মুহাম্মদ

মঈন মোশাররফ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, কয়লা খনির কয়লা গায়েবের সঙ্গে চীনা কোম্পানি জড়িত। বাংলাদেশি বেশকিছু ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এর সঙ্গে সম্পর্কিত রয়েছ। সরকারের ভেতরের নানা রকম লোকজন রয়েছে। তাদের একটি বড় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বড়পুকুরিয়া ও ফুলবাড়ি কয়লা খনিগুলো নিয়ে নানা কিছু করছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার টনের বেশি কয়লা ‘গায়েব’ হয়ে যওয়াকে সিস্টেম লস হিসাবে উল্লেখ করা দুর্নীতি ধামাচাপা দেয়ার লক্ষন। চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু, কমিটিগুলো প্রতিবেদন দেওয়ার আগেই কীভাবে বিসিএমসিএল উক্ত মন্তব্য করে। রোববার দ্য ডেইলি স্টার বাংলার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা গায়েবের সঙ্গে ‘সরকারের লোকজন এবং চীনা কোম্পানি জড়িত’

তিনি বলেন, দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে এই চেষ্টাটি আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে দেখি। এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়- যারা এটিকে ধামাচাপা দিতে চান তারাই এই সিস্টেমের সঙ্গে সম্পর্কিত। তারা মনে করেন যে যদি তদন্ত হয় তাহলে আরও অনেক তথ্য বের হয়ে যেতে পারে। তাই তারাই এগুলো ধামাচাপা দিতে চান।

তিনি আরো বলেন, তদন্ত কমিটি একটি নূন্যতম নিয়ম-কানুনের বিষয়। তদন্ত কমিটি হলো তারা তদন্ত করবে। তার মধ্যে যদি উচ্চ পর্যায়ের ক্ষমতাবান লোকজনদের কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবে তদন্ত কমিটির কাজ করার কথা, প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা। বিপুল পরিমান কয়লা গায়েব বা চুরি হয়েছে, আসল ঘটনা আড়াল করার জন্যে বিভিন্ন ধরনের চেষ্টা বা কথাবার্তার কথা আমরা প্রথম থেকেই শুনছি।

তিনি জানান, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলেও তা প্রকাশ করা হয় না, ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, অতীতে অনেকবার আমরা এমন দেখেছি। এবার কয়লা গায়েবের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি নগ্নভাবে করা হলো। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার আগেই তারা ধামাচাপা দিয়ে দিচ্ছেন আরেকটি যুক্তি দেখিয়ে। এতে প্রমাণিত হয় যে কয়লা লোপাট করার ঘটনাটি সত্য। আমাদের যে আশঙ্কা বা সন্দেহ ছিলো অনেক উচ্চ পর্যায়ের লোকজন জড়িত রয়েছে- সেটাই হয়ত সত্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়