শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৩৯ সকাল
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাতুড়ে ডাক্তার সেজে জঙ্গি নিয়োগ করতো মনিরুল

অনলাইন ডেস্ক : শিয়ালদহ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জেএমবি জঙ্গি আদতে একজন হাতুড়ে ডাক্তার। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাক্তারির আড়ালে নতুন নতুন ছেলেদের জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত করার দায়িত্ব তার উপর ছিল। ২০১২ সাল থেকে সে পশ্চিমবঙ্গসহ সংলগ্ন একাধিক রাজ্যে এই কাজ করছিল। তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে কয়েকজন জেএমবি জঙ্গি গুরুতর জখম হয়েছিল। তখন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা এই মনিরুলই করেছিল। খবর বর্তমান।

প্রসঙ্গত, দলাই লামার সফরের প্রাক্কালে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার রাতে শিয়ালদহের কাইজার স্ট্রিট থেকে মনিরুল ইসলাম নামে সক্রিয় জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। শনিবারই তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এসটিএফ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এসটিএফের গোয়েন্দারা আরও নিশ্চিত হয়েছেন, সে ২০১২ সাল থেকেই জেএমবি’তে হাতুড়ে ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিল। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা মনিরুল মুকিমনগর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় তার চেম্বার চালাত।

২০১০ সালে সে জেএমবি’র অন্যতম সক্রিয় সদস্য ইউসুফের সংস্পর্শে আসে। তারপরেই মুকিমনগর মাদ্রাসায় তার জেহাদি প্রশিক্ষণ হয়। যেহেতু সে ডাক্তারির অনেক কাজই জানত, তাই সেবিষয়েও তাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ ভারতের জেএমবি’র কয়েকজন সহকারী (যারা চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যুক্ত) তাকে অস্ত্রোপচারের প্রশিক্ষণ দেয়। পরে জেএমবি’র অন্যতম সক্রিয় নেতা হাতকাটা নাসিরুল্লাও তাকে কিছু প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। প্রশিক্ষণের পর থেকেই সে ডাক্তারি পেশাকে সামনে রেখে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরত। রোগী বা তাদের পরিবারকে জেহাদি কার্যকলাপে আকৃষ্ট করাই মনিরুলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। প্রাথমিকভাবে নিজের চেম্বারের পিছনের গোপন ঘরেই বাছাই করা ছেলেদের জেহাদি প্রশিক্ষণ দিত সে। তারপর পূর্ণাঙ্গ জেহাদি প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য তাদের মুকিমনগর মাদ্রাসাতেই পাঠানো হতো।

গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ডাক্তারির পাশাপাশি মনিরুল বিস্ফোরক বানানোতেও পারদর্শী ছিল। তাই বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা প্রস্তুত করার অনেক দায়িত্বও তাকে দেওয়া হয়েছিল। কোয়াক ডাক্তার হিসেবে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায়, সীমান্ত এলাকায় জেএমবি সদস্য, কর্মীদের কেউ অসুস্থ হলেও মনিরুলের ডাক পড়ত বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। এমনকী সীমান্তের বাংলাদেশ এলাকাতেও গুলিবিদ্ধ কয়েকজন জেএমবি সদস্যের অস্ত্রোপচারে তার ডাক পড়েছিল। খাগড়াগড়কাণ্ডে জখম জেএমবি সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসাতেও মনিরুলকে লাগানো হয়েছিল।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের জেএমবি শিবিরে সরাসরি তাকে ডাক্তার বলেই ডাকত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা। গোয়েন্দারা ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছেন, খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণে আহতদের কোথায় চিকিৎসা করানো হয়েছিল। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাদের গা-ঢাকা দিয়ে থাকার ব্যবস্থাই বা কোথায় করা হয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়