সৌরভ নূর : আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী আমাদের যতোটুকু প্রাপ্য ঠিক ততোটুকু বুঝিয়ে দিতে ভারতকে বাধ্য করতে হবে। আমাদের দেশের স্বার্থেই আমাদের পানির হিস্যা আদায় করে নিতে হবে। তবে ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, ফলে তাদের সাথে অলোচনা সাপেক্ষেই তিস্তা চুক্তি সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান। নয়াদিল্লি সফর শেষে তিস্তা চুক্তি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশাবাদ প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, তিস্তা চুক্তি এখন বহুমুখী সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত চুক্তিতে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে পানি দিতে হলে পশ্চিমবঙ্গের চারটি জেলা পানিশূন্য হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকেই দেখতে হবে উৎস থেকে পানির পরিমাণ বাড়ানো যায় কিনা। এছাড়া উৎসস্থল সিকিম থেকে পশ্চিম বাংলা পর্যন্ত ওই নদী থেকে অনেকগুলো খাল কাটা হয়েছে। সেই খালের সংখ্যা কমিয়ে সমাধান করা যেতে পারে। অন্যদিকে, এতো বছরে তিস্তা চুক্তির সমাধান না হওয়াতে নদীর দু’ধারে রূপরেখারও পরিবর্তন এসেছে। ভারত থেকে বয়ে আসা তিস্তাসহ প্রায় ৫৪টি নদীর পানির সমবণ্টনের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে। এছাড়া নদী গবেষণার সাথে যারা যুক্ত আছেন বা আগে করেছেন সবাইকে একত্রিত করে নদী কমিশনকে আবার সক্রিয় করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে নদী গবেষক ড. আইনুল নিশাত বাংলাদেশে তো বটেই এশিয়ার মধ্যে একজন অন্যতম্য নদী বিশেষজ্ঞ। তিনি এ বিষয়ে আগে থেকেই অবগত এবং চেষ্টা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। তাকে পুনরায় ফিরিয়ে এনে নদী কমিশনের একটি স্থায়ী পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :