শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:০৯ রাত
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:০৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিরল রোগে আক্রান্ত ঝিনাইদহের চম্পা খাতুন

সুলতান একরাম : ২০ বছর বয়সী চম্পা খাতুনকে এখনো শিশুর মত দেখায় । বয়স বাড়লেও বাড়েনি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। নেই শরীরের কোনো পরিবর্তন। যে বয়সে পড়ালেখা বা বিয়ের রঙিন স্বপ্ন থাকার কথা সেই বয়সেও চম্পা মানুষের কোলে চেপে বসে থাকে। বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী হিসেবে সমাজসেবা থেকে তার নাম নিবন্ধিত হলেও এখনো ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড। চম্পা খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের বংকিরা গ্রামের হাসেম মোল্লার মেয়ে। চম্পা খাতুনের মা মিনুয়ারা বেগম জানান, ১৯৯৯ সালের ২৮ এপ্রিল চম্পা খাতুনের জন্ম। জন্মের পর থেকে সে বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী। আচরণ করে শিশুর মতো। কোনো কথা বলতে পারে না। কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারে।

বড় বোন ময়না খাতুন জানান, ২০ বছর বয়স হলেও চম্পা এখনো শিশুর মতোই রয়ে গেছে। তার পিতা হাসেম মোল্লার মেয়েকে চিকিৎসা করানোর মতো সঙ্গতি নেই। এ জন্য তারা চম্পার জন্য একটি প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সমাজসেবা থেকে ২০১৬ সালে প্রতিবন্ধী হিসেবে চম্পার নাম নিবন্ধিত হলেও সেখানে মোছা. চম্পার খাতুনের স্থলে ভুলক্রমে মো. চাকমা খাতুন লেখা হয়েছে। নাম সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও ময়না খাতুন জানান।

স্থানীয়ইউপি মেম্বার এনামুল হক ডালু বলেন, বছরে দুইটি কার্ড বরাদ্দ থাকে। কাকে রেখে কাকে দেব ? তবে পর্যায়ক্রমে চম্পা খাতুনকেও দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও ঝিনাইদহের প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অলোক কুমার সাহা জানান, এই রোগটিকে বলে হাইপো থাইরয়েডিজম (ঐুঢ়ড়ঃযুৎড়রফরংস)চিকিৎসা করালে রোগটি ভাল হতে পারে। হয়তো অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে তারা পিছিয়ে আছে। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ জেলায় নানা বয়সী এমন রোগী আছে। থাইরয়েড পরীক্ষার পর এই রোগের চিকিৎসা শুরু করতে হয় বলেও তিনি জানান। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়