মুহাম্মদ নাঈম : দেশে গাভির খোলা দুধে ৯৬ ভাগ, প্যাকেটজাতে ৬৬ থেকে ৮০ ভাগ অনুজীবসহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে। ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ডিবিসি নিউজ।
আজ রোববার দুপুরে, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে গাভির দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত সব ধরনের খাবারেই পেস্টিসাইড, সীসাসহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে। এমনকি, পাস্তুরিত তরল দুধেও সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি রাসায়নিক পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সহযোগিতায়, দেশের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি (এনএফএসএল) এর গবেষণায় এসব ফলাফল উঠে এসেছে। গবেষণায় গাভির দুধ, দই এবং প্যাকেটজাত দুধ নিয়ে এই জরিপ চালানো হয়।
গবেষণায় তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাভির ৯৬টি দুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এতে ঢাকাসহ তিন জেলার ৬টি উপজেলার ১৮টি স্থান থেকে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গাভির দুধ ও গোখাদ্য সরাসরি খামার থেকে সংগ্রহ করা হয়। সেই সঙ্গে দোকান থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
নমুনা সংগ্রহের পর ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এসব ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান পাওয়া যায়। গবেষকরা জানান, সব গোখাদ্যে সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। খাবারে সীসা, ক্রোমিয়ামসহ কীটনাশক রয়েছে। এসব রাসায়নিক উপাদান মানুষের শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি ক্যান্সারও সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক খাবারে ভেজাল রোধে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, আইন থাকলেই চলবে না, আইনের প্রয়োগ হতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে ক্ষমতা আছে, সেই ক্ষমতার পূর্ণ প্রয়োগ করা হবে যাতে ভেজাল খাদ্য না খেতে হয় বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আপনার মতামত লিখুন :