তরিকুল ইসলাম : তিস্তা ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত আশ্বস্ত করেছে। আমরা অনেক দূর পর্যন্ত সমাধান করে ফেলেছি। এখন সময় যাচ্ছে কিন্তু সমাধান হয়ে যাবে। এগুলো নিয়ে চিন্তার কারণ নেই বলে শনিবার ভারত সফর শেষে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অন্যদিকে, ঢাকা-নয়াদিল্লি বৈঠক শেষে শুক্রবার যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, দুই দেশের নদী নিয়ে কথা হয়েছে বলা হলেও তিস্তা বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। এছাড়া, ওই বিবৃতিতে রোহিঙ্গা শব্দটি এড়িয়ে রাখাইনের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার যেমন রোহিঙ্গা শব্দে বিশ্বাসী নয়, তেমনি ভারতসহ অনেক দেশই রোহিঙ্গায় বিশ্বাসী নয়। ঢাকা-নয়াদিল্লি বৈঠক শেষে প্রকাশ করা যৌথ বিবৃতিতেও দেখা দেছে, সেখানে রোহিঙ্গা শব্দটি এড়িয়ে রাখাইনের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে রোহিঙ্গা শব্দেই ভারত বিশ্বাস করে না, সেখানে তারা এই সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পক্ষে কতটুকু আন্তরিক থাকবে?
যৌথ বিবৃতিতে তিস্তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা সব নদী নিয়েই কথা বলেছি, যেন সমাধান হয়। তিস্তা নিয়েও আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী। শুধু তিস্তা নয়, অনেক নদীই তো আমাদের আছে। শুধু একা তিস্তা নিয়ে বলছেন কেন? ৫৪টা নদী আমাদের আলোচনায় আছে। আমরা সব নদীরই আস্তে আস্তে সমাধান করবো।
কবে নাগাদ তিস্তা নিয়ে সমাধান আসতে পারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি কোনো দিন-তারিখ দিতে পারবো না। আমরা শুধু আশাতেই আছি। এদিকে, ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা শনিবার ‘জিইয়ে রাখতে তিস্তা প্রসঙ্গ তুলল ঢাকা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলছে, ‘ঘটনা হলো, সরকারের এই মেয়াদে তিস্তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপের সম্ভাবনাই নেই। কিন্তু বাংলাদেশ চাইছে ভারতের সঙ্গে তিস্তা প্রসঙ্গটিকে জীবন্ত রাখতে। যেন পরবর্তী সরকারের গোড়া থেকেই এই নিয়ে চাপ বাড়ানো যায়। তা ছাড়া নিজের ইনিংসের গোড়াতেই তিস্তা প্রসঙ্গটিকে ফের আলোচনার টেবিলে এনে বাংলাদেশের মানুষের কাছেও বার্তা দিতে চাইল হাসিনা সরকার। সূত্র: সারাবাংলা
আপনার মতামত লিখুন :