হ্যাপি আক্তার : ফুলের রাজধানী যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীর ফুল চাষিরা প্রতি মৌসুমে ৭টি উৎসবকে ঘিরে মূল বেচাকেনা করে থাকেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও প্রতিক‚ল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় গত বছর ফুলের বাজার মন্দা গেছে চাষিদের। বসন্ত দিবস, ভ্যালেন্টাইনস ডে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে আশায় বুক বেঁধেছেন ফুল চাষিরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, সামনের বাজারে ভালো দাম পাবেন চাষিরা। সেই সাথে বার্ষিক ৬০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হবে। সময় টেলিভিশন।
বর্তমানে গদখালীর এলাকার ৬ হাজার কৃষক বাণিজ্যিকভাবে রজনীগন্ধা, গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিউলাস, জিপসি, রডস্টিক, ক্যালেনডুলা, চন্দ্রমলিকাসহ ১১ ধরণের ফুল উৎপাদন করছেন চাষিরা।
উৎসবগুলোর মধ্যে স্বাধীনতা দিবস ও ইংরেজি নববর্ষের বেচাকেনা শেষ করেছেন ফুল চাষিরা। তবে বেচাকেনায় সন্তুষ্ট নন চাষিরা। তাদের দাবি সংসদ নির্বাচন ও আবহাওয়াগত সমস্যার কারণে উৎপাদন ও দাম দুটোই কমছিলো। যে কারণে এখনো লাভের মুখ দেখেননি তারা। তাই বসন্ত, ভালোবাসা ও মাতৃভাষা দিবসের বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশা তাদের। এখন শেষ মুহ‚র্তে নানা পদ্ধতিতে মাঠে পর্যাপ্ত ফুল সংরক্ষণ করছেন তারা।
ফুল চাষিরা বলেছেন, বাজারে আমরা ফুল নিয়ে আসছি। বেচা কেনা করলাম। সামনে ভালো দাম পাবো আশা করি। গেল দুই মাসে ফুলের দাম ভাল পাইনি। সামনে তিনটি পর্ব আছে সেই আশায় বুক বেঁধে আছি, ভালো দাম পাবার আশায়।
গদখালীর ফুলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ফুলের বাজার ভালো। উৎসবের আগে ফুলের দাম আরো বাড়বে আশা করছি। ফলে চাষিরা লাভবান হতে পারবেন।
ফুল ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে ফুলের দাম কম ছিলো, এখন বাড়ছে। আশা করছি সামনে আরো বাড়বে। ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং ২১ ফেব্রুয়ারিতে আমরা আরো লাভবান হবো।
ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আব্দুর রহিম বলেছেন, নানা সমস্যা সত্তে¡ও ফেব্রুয়ারি মাসের তিন উৎসবের বাজার ধরতে আমরা প্রস্তুত। যদি বৈরি কোনো আবহাওয়ার সৃষ্টি না হয় তাহলে আমরা আশা করছি প্রায় ৬০ কোটি টাকার ফুল এই অঞ্চল থেকে বিক্রি হবে। সম্পাদনা : রাজু
আপনার মতামত লিখুন :