আব্দুর রাজ্জাক : চীনে উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনে নির্মিত বন্দি-শিবিরগুলো বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটির জিনজিয়াং প্রদেশে একজন উইঘুর সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই আঙ্কারা বেইজিংয়ের প্রতি এমন আহ্বান জানালো। বিবিসি
শনিবার এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানায়, এটি এখন আর গোপন নেই যে, চীন ১০ লাখেরও অধিক মানুষকে জোরপূর্বক আটক করে রেখেছে। যারা আটক হয়নি তাদেরও মারাত্মক চাপে রাখা হয়েছে। বন্দিশালায় উইঘুরদের নির্যাতন করা হচ্ছে। এটি বিশ্ব মানবতার জন্য হুমকি ও হৃদয় বিদারক।
চীন উইঘুরদের জেলে বন্দি করে তাদের ওপর শুধু নির্যাতনই না বরং রাজনৈতিক ব্রেইনওয়াশও করছে বলে মন্তব্য করেন তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি আকশয়। তবে উইঘুর মুসলিমদের বন্দি নয় বরং তাদের নতুন করে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে বলে দাবি বেইজিংয়ের।
আকশয় আরো বলেন, সঙ্গীতশিল্পী আব্দুরেহিম হায়িতের মৃত্যুই প্রমাণ করে জিনজিয়াংয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ২১ শতকে এসে চীনের এমন আচরণ বিশ্ব মানবাধিকারের স্পষ্ট লংঘন তাই জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিয় গুতেরেসের উচিৎ উইঘুর মুসলিমদের অধিকার রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া।
এদিকে, উইঘুর মুসলিমদের অধিকার রক্ষার দাবিতে নিউইয়র্কে চীনা দূতাবাসের সামনে গত শনিবার বিক্ষোভের আয়োজন করে ইসলামিক কমিউনিটি ন্যাশনাল ভিউ (আইজিএমজি)। প্রতিবাদ বিক্ষোভ থেকে উইঘুরদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে হত্যা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :