নিউজ ডেস্ক: গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জন্ম নিয়েছে একটি বাঘ শাবক। গত বছরের আগস্টে জন্মেছিল আরও ৩টি। সুন্দরবনে দিন দিন বাঘের সংখ্যা কমলেও দুই বছরে পার্কে ৭টি বাঘ শাবক জন্ম নেয়ায় খুশি সংশ্লিষ্টরা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পার্কে বাঘের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মত তাদের। সময় টিভি
মায়ের সঙ্গে খুনসুটিতে ব্যস্ত বাঘ শাবকটি। করছে মায়ের সর্বোচ্চ অনুকরণ। মাংস খেতে না পারলেও মায়ের খাবারে ভাগ বসানোরও চেষ্টা আড়াই মাস বয়সী এই শাবকের।
সাফারি পার্কে আফ্রিকা থেকে আনা একটি বাঘিনীর গর্ভে গত ৩১ অক্টোবর জন্ম নিয়েছিল তিনটি শাবক। যার দুটিই ছিল মৃত। তবে অন্যটি এখন সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত। জন্মের পর নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকাশ না করলেও শঙ্কা কেটে যাওয়ায় সম্প্রতি এ তথ্য জানায় সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। এর আগে আগস্টে অপর বাঘিনীর গর্ভে জন্মেছিল ৩টি শাবক।
বন্যপ্রাণী পরিদর্শক সারোয়ার হোসেন বলেন, 'বাচ্চাগুলো পার্কের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে দিয়েছে।'
প্রাণী সংরক্ষক মো. নুর নবী বলেন, 'বাচ্চার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখি। বাচ্চা তার মায়ের বুকের দুধ খায়। মাকে মাংস দিলে মাংসের হাড় ধরে সে চাটে।'
ভেটেনারি সার্জন হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকারনাইন বলেন, 'খেলতে গিয়ে সে কিছু জখম হয়। কিন্তু বড় ধরনের সমস্যা হয়নি।'
এক বছর বয়স হলে বাঘ শাবকগুলোকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার কথা জানালো পার্ক কর্তৃপক্ষ। সরকারি সহায়তা পেলে প্রতি বছর দেশবাসীকে এমন উপহার দেয়া সম্ভব বলে দাবি এ কর্মকর্তার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো রফিকুল ইসলাম বলেন, 'বাচ্চাগুলো সুন্দর এবং শবল আছে। আলাদা মিনি ব্যষ্টনিতে রাখা হয়েছে। তবে আরও মিনি বেষ্টনি প্রয়োজন।'
২০১৩ সালে আফ্রিকা থেকে আনা ৬টি বাঘ ছাড়া হয় এই পার্কে। এখানে জন্ম নেয়া ৭টি শাবকসহ পার্কে এখন বাঘের সংখ্যা ১৩টি।
গতবছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জন্ম নিয়েছে চারটি বাঘের বাচ্চা। যা নতুন করে আলোর মুখ দেখাচ্ছে বাংলাদেশের সাফারি জগতের। প্রাণিবিদরা বলছেন যথাযথ পরিবেশ পেলে বাংলাদেশ হতে পারে বিশ্বের মাইলফলক।