শিরোনাম
◈ তারেক রহমানের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিজের, সহায়তা করবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চাপে নিম্নবিত্ত, অসহায় মধ্যবিত্ত ◈ নাটোর থেকে অপহৃত বিকাশ কর্মীকে টাঙ্গাইল থেকে উদ্ধার, জড়িত ভুয়া পুলিশ আটক ◈ ডিমের ডজন ১৫০ টাকা ছাড়ালেই আমদানির অনুমতি দেবে সরকার ◈ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ফিফার: আর্জেন্টিনাসহ ছয় দেশকে বড় অঙ্কের জরিমানা ◈ সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ৪৯তম স্থানে বাংলাদেশের আজিজ খান, সম্পদ ১.১ বিলিয়ন ডলার ◈ বিশ্বকাপও বয়কট কর‌লো পা‌কিস্তান, এই মুহূর্তে ভারতে দল পাঠানো তা‌দের প‌ক্ষে সম্ভব নয় ◈ ঢাকায় সভা-সমাবেশে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ◈ ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৩ মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৬৩ ◈ ‍‌‌`মিথ্যা তথ্য দিয়ে পূর্বাচলে প্লট নেন শেখ রেহানা'

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:১৩ সকাল
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেবী সরস্বতীর অর্চনায় মুখর ঢাবির জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণ

মহসীন কবির : বিদ্যাবুদ্ধিতে সমৃদ্ধ হতে বিদ্যা দেবী সরস্বতীর পূজা অর্চনায় মুখরিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণ। রোববার সকাল ৯টার দিকে জগন্নাথ হল মাঠ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ছাত্রী হলে দেবীর পূজা হয়।

হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবে পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন অগণিত ভক্ত। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর চরণে প্রণতি জানাবেন তারা। সনাতন ধর্মালম্বিদের মতে দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী।

সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে/ বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যংদেহী নমোহ তুতে’ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই মন্ত্র উচ্চারণ করে বিদ্যা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য দেবী সরস্বতীর অর্চনা করেন।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও সারা দেশে ব্যাপক আয়োজনে সরস্বতী পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন ভক্তরা। সারা দেশের স্কুল, কলেজ, মন্দিরে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটা মণ্ডপে আজ সারাদিন পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোট ছোট শিশুদের আজ হাতেখড়ি দেয়া হবে।

এদিকে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট তার বাণীতে বলেছেন, সরস্বতী পূজা বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধর্মীয় উৎসব। ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে এই উৎসবে সকলের অংশগ্রহণ এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ও ঐতিহ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে বাণী অর্চনার এই আবহ অম্লান হোক। জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত হয়ে দেশের প্রতিটি মানুষ সাম্প্রদায়িকতা, অজ্ঞানতা, থেকে মুক্ত হয়ে একটি কল্যাণকর ও উন্নত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে রয়েছে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা। আবহমানকাল ধরে এখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে আসছেন। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালন করেছেন। আমি মনে করি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। পারস্পরিক এ সম্প্রীতি সামনের দিনগুলোতে আরো সুদৃঢ় হবে - এ আমার বিশ্বাস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়