শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:১৩ সকাল
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারপ্রধানের দুর্নীতির ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি কিংবা সতর্কবার্তা আশাব্যঞ্জক : এম হাফিজউদ্দিন খান

নাঈমা জাবীন : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেছেন, সরকারপ্রধানের দুর্নীতির ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি কিংবা সতর্কবার্তা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু একই সঙ্গে এও উল্লেখ করা প্রয়োজন, দুর্নীতিবিরোধী জোরালো অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতির পরও বিদ্যমান চিত্র সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে নতুন করে কিছু বার্তা দিয়েছে। যেমন- আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্যরে যথাযথ প্রয়োগ করে নির্মোহ অবস্থান নিয়ে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে, বিশেষ করে উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজদের কার্যকর জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনে দৃষ্টি দিতে হবে। সূত্র : সমকাল
তিনি আরও বলেন, সর্বাগ্রে উৎসে হাত দিয়ে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দৃঢ় হতে হবে এবং কোনো ব্যাপারেই সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে আপসহীনতার ব্যাপারেও সমভাবেই মনোযোগী হতে হবে। দুর্নীতি হ্রাসে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারের সংশ্নিষ্ট সব সংস্থাকে সত্যিকার অর্থে করতে হবে কার্যকর। ‘দুর্নীতি বন্ধ করব’, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাব’- এমন অঙ্গীকারের কার্যকারিতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন আছে, সেসবের নিরসনে অঙ্গীকার পূরণে অটল থাকতে হবে।
সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কার্যকর জাতীয় সংসদ জনপ্রত্যাশা মোতাবেক এখনও আমরা পাইনি। সংসদীয় কমিটিগুলো কতটা কার্যকর কিংবা নিজ নিজ ক্ষেত্রে এসব কমিটির দায়িত্বশীলরা কাক্সিক্ষত ভূমিকা পালনে কতটা কী করতে পেরেছেন, অতীতের পরিস্থিতি এমন প্রশ্নও দাঁড় করায়। সংসদীয় কমিটিগুলো সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোতে সুপারিশ পেশ করার মধ্য দিয়েই যেন সব দায়দায়িত্ব শেষ মনে করছে। এর নিরসন জরুরি। সংসদ সদস্যদের আইন প্রণয়নে যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি সংসদীয় কমিটিগুলোর দায়িত্বশীলদেরও নিজ নিজ মন্ত্রণালয় কিংবা বিভাগের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি শানিত ও যথাযথ কার্যকর ভূমিকা রাখার প্রয়োজন রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর নতুন সরকারের কার্যক্রম শুরুর প্রথমেই আমরা নতুন করে আবার পুরনো অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি শুনলাম। আমরা প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কথার ফল পেতে চাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়