স্মৃতি খানম : কবি মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেছেন, বাংলা একাডেমিকে সরকার থেকে যে ফান্ড দেয়া হয়, তা নিতান্তই অপ্রতুল। দেশের ষোলো কোটি মানুষের মেধা ও মননের বিকাশে এ প্রতিষ্ঠানটি অপরিসীম ভূমিকা রাখতে পারে। এ কথাটি মাথায় রেখে বাংলা একাডেমির বাজেট বরাদ্দে সরকারের উদারনীতি কামনা করা হলো। দেশের শিল্পী, সাহিত্যিক, লেখক, কবি, ছড়াকারসহ বিভিন্ন শ্রেণির প-িত ব্যক্তিদের পা-িত্য বিকাশে প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার প্রয়োজনেই তা করা দরকার।সূত্র: যুগান্তর
তিনি আরও বলেন, বছরে একবার মাত্র বইমেলাকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি সরব হয়ে উঠবে আর বাকি সময় তা নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকবে, এমনটি যেন না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো। কারণ বর্তমানে একুশে গ্রন্থমেলা উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে তার বক্তৃতা এবং মঞ্চে উপবিষ্ট ব্যক্তিদের কিছু কথার দিকেই যেন সারা বছর চেয়ে থাকতে না হয়। অর্থাৎ সারা বছরই কোনো না কোনো সময় বাংলা একাডেমি যেন সরব থাকে, সে বিষয়টিও জরুরি। বছরের বাকি সময়ে নির্ধারিত গ-ির মধ্যে বাংলা একাডেমির মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে বেঁধে রাখার কোনো যুক্তি আছে বলে মনে হয় না। যুগ ও সময়ের প্রয়োজনে বাংলা একাডেমিকে এখন নতুন নতুন চিন্তা-চেতনার বিকাশ ঘটানোর জন্য গবেষণা ও কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। দেশে নতুন নতুন কবি, লেখক, গবেষক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক, ছড়াকার, ঔপন্যাসিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির গুণী ব্যক্তি সৃষ্টির পথ প্রশস্ত করার কাজেও বাংলা একাডেমিকে এগিয়ে আসতে হবে। একমাত্র গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠানই যেন বাংলা একাডেমির প্রধান কাজ বলে বিবেচিত না হয়। পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকা-ও যেন সমান গুরুত্ব পায়, সেদিকে দৃষ্টি দেয়াও এখন সময়ের দাবি।
আপনার মতামত লিখুন :