মারুফুল আলম : ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেছেন, ১৯৬৫ সালে আমি ডাক্তারি পাশ করি। এরপর চাকরি। কিন্তু কোথায় চাকরি করবো? আমরা সবাই দল বেঁধে আর্মি মেডিকেল কলেজে জয়েন করি। ১৯৬৭ সালে আমরা ইমারজেন্সি কমিশনড হই। অর্থাৎ ৫ বছরের জন্য বন্ড দিয়ে ঢুকতে হয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আমরা সবাই ট্র্যাপে পড়ে গেলাম। সেই ট্র্যাপ থেকে কেউ বেরুতে পারিনি। ৭১-এ তার ভূমিকা নিয়ে তিনি সংশয় দূর করেন এভাবে। সম্প্রতি ইনডিপেন্ডেন্ট টিভিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পরে আমি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে অনেক বছর চাকরি করি। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গেলাম। পড়াশোনা করে আবার দেশে ফিরলাম। দেশে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজে জয়েন করলাম। তো মুক্তিযুদ্ধে আমার ভূমিকা নিয়ে কনফিউশনের কোনো জায়গা নেই। আমরা জানতামই না যে, ৬৯ আসবে, ৬৬ আসবে বা ৭১ আসবে।
রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গী ছিলেন, এটি কতটুকু সত্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, কথাটি সত্য না। আমি তো পালিয়ে গিয়েছি যুদ্ধের বহু আগেই। ৭১-এ যখন খোঁজাখুজি শুরু হলো, গ্রিন রোডের ভাড়া বাসায় যখন হানা দেয়া হয়েছিলো, আমাকে খুঁজে পায়নি কেউ। বাচ্চা, মা, ভাই, বোন সবাইকে নিয়ে আমি পালিয়েছিলাম। আমার ভাইকে দুইবার হানাদাররা ধরে নিয়েছিলো মিলিটারি ক্যাম্পে। তখন আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমার ভাই নয়নকে ছাড়িয়েছিলাম। আমার ভাই যদি মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকতো, তারা তো আমার ভাইকে ধরতো না।
আপনার মতামত লিখুন :