আসিফুজ্জামান পৃথিল : মিয়ানমারের সংবিধান সংশোধনের জন্য নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি। দেশটির বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে জাতিসংঘের এই জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা বলেছেন, মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধানের উপর ভিত্তি করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। ইউএন
তিনি বলেন, ‘এই কমিটি গঠনের বিষয়টি অত্যন্ত ইতিবাচক। আমি মনে করি এটি মিয়ানমারে গণতন্ত্র আনতে সহায়তা করবে।’ সংবিধান সংশোধনের জন্য দেষটিতে জনসমর্থন রয়েছে। জনগনের এই ইচ্ছে পূরণে ভুমিকা রাখতে লি এই কমিটিকে উৎসাহ দিয়েছেন। ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে অঙ সান সুচির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি সংবিধান সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। এই নির্বাচনে তারা ভুমিধ্বস বিজয় অর্জন করে। এর আগের সামরিক সরকার ২০০৮ সালে বর্তমান সংবিধান প্রণয়ন করে। এর ফলে দেশটিতে কখনই পূণাঙ্গ গণতন্ত্র আসেনি। এতে পার্লামেন্টে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও স্রাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং সীমান্ত মন্ত্রনালয় সেনা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।
ইয়াংহি লি বলেন, ‘বর্তমান সংবিধান কোনভাবেই গণতান্ত্রিক নয়। এটি সংশোধন না করে মিয়ানমার কোনভাবেই নিজেদের গণতান্ত্রিক বলতে পারে না।’ বর্তমানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বড় ধরণের আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার। দেশ থেকে একসাথে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বিতারিত হলেও শক্তভাবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধাচারণ করেননি সুচি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সংবিধান সুচির কথা বলার শক্তি কেড়ে নিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :