জিয়াউদ্দিন রাজু ও জুবায়ের সানি: ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ছাত্রলীগ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে কে হবেন ডাকসুর নেতা।
কিন্তু কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে চিন্তিত বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট। প্রগতিশীল ছাত্রজোটের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অ্যাকাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র করার কথা। এছাড়াও হলে সহাবস্থান নেই বলেও অভিযোগ তাদের। তাদের দাবি নির্বাচন উপলক্ষ্য হলগুলোতে যে পরিবেশ থাকা দরকার তার ছিটেফোটাও নেই। এ অবস্থায় নির্বাচন ফলপ্রসূ হবে না বলে মনে করেন জোটের একাধিক নেতা।
ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। তবে সহাবস্থান চাই। কেউ যাতে ছাত্রদের ভোটকে প্রভাবিত না করতে পারে আগে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
এদিকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সাংগঠনিক দিকে দূর্বল ছাত্রদল। অনেকদিন ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালাতে না পারা দলটি সাংগঠনিকভাবে দূর্বল অবস্থায় রয়েছে। হলে তাদের কোনো অবস্থানই নেই। এমতাবস্থায় প্রত্যেক হলে ছাত্রদল নিজেদের প্যানেল দিতে পারবে না বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে ন্যূনতম ৩ মাস সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রদলের একটি সূত্র জানায়, ছাত্রদল দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি থেকে একটু দূরে এসেছি। হামলা মামলার কারণে আমরা নিয়মিত রাজনীতির সাথে থাকতে পারি নি। আমাদের অবস্থানকে নিশ্চিত করতে কিছু সময়ের দরকার।
তবে ছাত্রলীগ বলেছে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তাদের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তারা নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত। এ প্রঙ্গে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, একটা প্রতিপক্ষ ডাকসু নির্বাচন পেছাতে চায়। ছাত্রলীগ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে।