জয়নুল হক, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিতের পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে দুইটি গ্রুপ অবস্থান নিয়ে মহড়া দেওয়ায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে শোডাউনের নেতৃত্বে বহিস্কৃত সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের উপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকায় বহিস্কৃত নেতাদের দ্বারা যে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার আশংকায় আছে জুনিয়র কর্মী ও সাধারন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারী শাখা ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে ক্যাম্পাসে সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় সংসদ। এরপর গত মঙ্গলবার সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর গ্রুপ ও বুধবার সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের নামে আরেকটি গ্রুপ ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়। যার নেতৃত্বে থাকা আশরাফুল আলম জবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ পাওয়ার পরপরই স্বেচ্ছায় অব্যহতি নেয়, যুগ্ন সম্পাদক হোসনে মোবারক রিশাত ও মশিউর রহমান লিজনকে চাঁদাবাজির দায়ে কেন্দ্রীয় সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। এবং শোডাউনে থাকা কর্মী পর্যায়ের বেশ কয়েকজন ক্যাম্পাসে মারামারি ও সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হন।
জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। বেশ আগে থেকে একটি চক্র ক্যাম্পাসে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। তারা যদি কেন্দ্রীয় সংগঠনের নাম ভাঙ্গায় তাদের ব্যবস্থাও কেন্দ্রীয় সংগঠন করবে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক (স্থগিত) শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, ক্যাম্পাসে আমাদের কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা শোডাউন দিচ্ছে তাদের অনেকেই বহিস্কৃত। এখন ক্যাম্পাসে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তার দায়ভার আমাদের না।
এবিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :