লীনা পারভীন : আমি তখন মাস্টার্সের ছাত্র। তিনমাসের ফিল্ডওয়ার্কের অংশ হিসেবে অ্যাডভোকেট এলিনা খানের প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছিলাম। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের পারিবারিক কেস আসতো সেখানে। আমরা শিক্ষানবীশ হিসেবে সেসব কেসের বিস্তারিত রেকর্ড নিতাম এবং আইনি পরামর্শের জন্য যাবতীয় সাহায্য করতাম। একদিন এমনি এক কেস ডিল করতে গিয়ে আমি হতবাক হয়ে পড়েছিলাম।
বাচ্চাটির বয়স বড়জোর ১২/১৪ হবে। প্রচ- মানসিক যন্ত্রণার মাঝে সে এসেছিলো কী করতে পারে সে আলোচনা করতে। কেস হিস্ট্রি নিতে গিয়ে আমি বরফ ঠা-া হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ মেয়েটি দিনের পর দিন তার বাবার কাছে ধর্ষিত হয়ে আসছিলো। এই ঘটনা তার মা’ও জানতো কিন্তু কিছু করতে পারছিলো না। শেষে মেয়েটির মা তার মামার সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে এলিনা আপার কাছে পাঠিয়েছিলো মেয়েটিকে বাঁচানোর আকুতি নিয়ে।
বিশ্বাস করেন এরপর অনেকদিন আমি আমার বাবার দিকে তাকাতে পারিনি। ভেতরে ভেতরে আমার প্রচ- এক সংশয় ভর করেছিলো। তাহলে কি বাবারাও এমন হয়? অনেকদিন পরে বাবা কর্তৃক কন্যা ধর্ষণের ঘটনা আমাকে সেই পুরনো ও হারিয়ে যাওয়া না বলা স্মৃতিকে উস্কে দিলো। ভিডিওটি আমি দেখিনি কারণ পারিনি। কিছু বিষয় নেয়া যায় না। বিশ্বাস আর আস্থার জায়গাগুলো যখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায় তখন আমরা মানুষ খুব অস্থির ও অসহায় হয়ে পড়ি। আমিও অসহায় বোধ করছি আর ভাবছি মানুষের সম্পর্কগুলো কেন এমন প্রশ্নের মাঝে পড়ে যাচ্ছে? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :