জাবের হোসেন: আলোকিত মানুষের খোঁজে পেরিয়ে আসা চার দশক। জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাতে ৯০ লাখ পাঠকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বই। আগামী এক দশকে বই তুলে দেয়া হবে আরো দুই কোটি পাঠকের হাতে। সেই স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। যাত্রা শুরু ১৯৭৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর। আজকের এই বহুতল ভবনের আড়ালে রয়ে গেছে লাল রঙের দোতলা দালান। উদার ছাদ। আম মুকুল আর মহুয়ার সৌরভ এবং এক চিলতে সবুজ। সময়টিভি
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কাজও বেড়েছে। পাঠচক্র স্কুল-কলেজ কর্মসূচি, আলোর ইশকুল এবং পাঠকের দরজায় বই পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য আমীরুল ইসলাম বলেন, স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা আছেই। এর সংগে যে ঘাটতি থাকে ভালোবাসা মানুষের প্রতি মমতা প্রকৃতির প্রতি প্রেম এই প্রত্যেকটি জিনিস সুন্দরভাবে অন্তর্জগতে তৈরি হয়। ঠিক এই কারণেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠানিক প্রয়োজনীয়তা ফুরাবে না।
পাঠ্যক্রমের বইয়ে হাঁপিয়ে উঠা শিক্ষার্থীদের আনন্দ পাঠ উপহার যেমন দিয়েছে বিশ্বসাহিত কেন্দ্র তেমনি সমাজের আঁধার কাটাতে সকল বয়সী মানুষকে বইয়ের আলোয় আলোকিত করতে সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নতুন উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে কেন্দ্র।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বিশ্বাস করেন, প্রযুক্তির আলো বইয়ের আলোকে ম্লান করতে পারবে না। তিনি বলেন, পুঁজিবাদ টাকা চায়, তার ফলে মানুষ সুন্দর বড় উন্নত জীবন থেকে সরে সে একটা পণ্যে পরিণত হয়েছে। এই বইকে যদি পুথিবী ছেড়ে যায় তাহলে সেদিন মানুষ এবং জন্তুর কোন পার্থক্য থাকবে না।
মানুষের স্বপ্ন এবং চিন্তার প্রতিফলন ঘটাতে হলে বই পাঠের বিকল্প নেই। ৪০ বছর ধরে বই চর্চা করে যাচ্ছে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে গেলেও মানুষের মাঝে বই চর্চাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে চায় এই সংস্থাটি।
আপনার মতামত লিখুন :