শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:০৪ সকাল
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মৌলভীবাজারের একটি বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে ২৭ বছর ধরে পাঠদান করছেন ৪ শিক্ষক

জাবের হোসেন: টানা ২৭ বছর বিনা বেতনে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন কমলগঞ্জ উপজেলার একটি বেসরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষক। শুধু তাই নয় বিদ্যালয়ের টিনসেডের ঘরটিও তৈরি হয়েছে এলাকাবাসী ও তাদের আর্থিক সহায়তায়। পিএসসি পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করলেও প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পর্যন্ত বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়নি। যমুনাটিভি

মৌলভিবাজার কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের জশমতপুর গ্রামে ১৯৯১ বেসরকারি উদ্যোগে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। খতিজা বিবি ও আব্দুল গফুর নামে স্থানীয় দাতাদের দেয়া ৩৩ শতক ভূমির উপর স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে শিক্ষক আব্দুল ওয়াহিদ, আব্দুল হান্নান, রত্নারাণী পাল ও মৌসুমী আক্তারকে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু দরিদ্র এলাকাবাসীর সামর্থ না থাকায় বিগত ২৭ বছর ধরে বিনা বেতনে পাঠদান করছেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বৃষ্টি হলে পানি পড়ে বইপত্র ভিজে যায়। জোরে বাতাস শুরু হলে ভয়ে সবাই বাড়িতে চলে যায়। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শিক্ষকরাও ছুটি দিয়ে দেন।আমরা অনেক কষ্ট করে স্কুলে ক্লাশ করছি।

স্থানীয়রা জানান, জাতীয়করণের আশায় পাঠদান চালিয়ে গেলেও আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে হতাশ শিক্ষক ও অভিভাবকরা। আশপাশে কোন বিদ্যালয় না থাকায় জশমত গ্রাম ছাড়াও দেবীপুর, দক্ষিণ ধর্মপুর ও দক্ষিণ সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামের শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে পড়তে আসে। বিনা বেতনে শিক্ষকতা করা চার শিক্ষকের আর্থিক অবস্থাও ভালোনা। যার ফলে অনেক কষ্টে তারা বিদ্যালয়ের পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, প্রতিবছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করছে। সাবেক চিফ হুইপ মো. আব্দুস শহীদ এমপি, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী প্রায়ত সৈয়দ মহসীন আলী এমপি’র সুপারিশসহ বিদ্যালয়টি জাতীয়করণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। এরপরও এটি জাতীয়করণ না হওয়ায় আমরা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি। দ্রুত বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

কমলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ করে এ বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়ের আশপাশে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় এটি জাতীয়করণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আগামী শিক্ষা কমিটির মাসিক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, বিষয়টি অমানবিক। আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে আমি সাধ্যমত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব। দীর্ঘদিনেও কেন জাতীয়করণ হলো না বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়