সৌরভ নূর : মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি, ক্রসফায়ার, ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও ইয়াবার প্রসার প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, চাহিদা আছে বলেই ইয়াবা পাচার ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড় এটা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করাও কখনো সম্ভব নয়। কোনো দেশেই সম্ভব হয়নি। মাদকের চাহিদা মানুষের কাছে আগেও ছিলো এবং থাকবে তবে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং সহনীয় মাত্রার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। পাশাপাশি আসক্তদের কাউন্সেলিং দিতে হবে।
এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, ইয়াবা পাচার ও বিক্রয়ের সাথে জড়িতদের আটকের পর দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া মুনাফা লাভের আশায় যারা ইয়াবা ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এই পাচারকারীরা যে বা যারাই হোক দলমত নির্বিশেষে নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তবেই জড়িতদের মনে ভয়ের সৃষ্টি হবে এবং প্রতিরোধের দেয়াল শক্ত হবে।
অন্যদিকে ইয়াবা পাচারের ব্যাপারে প্রশাসনকে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। চালান আটকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে এবং গোয়েন্দা বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আরো সক্রিয় হতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :