আসাদুজ্জামান সম্রাট : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ ‘শীষক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮ এ প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ উদ্যোগ গ্রহণের বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কেন্দ্রিয় দর্শন হিসেবে গ্রামকে সবসময়ে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা তরেন আওয়ামী লীগ সরকার। কারণ স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু নগর ও গ্রামের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশ্যে কৃষি বিপ্লকের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলের আমূল পরিবর্তনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদে অঙ্গীকার যুক্ত করেছিলেন। গত দুই মেয়াদে শেখ হাসিনার সরকারের বহুমাত্রিক তৎপরতায় গ্রামে অনেক আধুনিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
নেত্রকোণা-৫ থেকে নির্বাচিত সরকার দলীয় এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। মন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষা সম্প্রসারণ, কৃষি ও অকৃষি খাতে দক্ষ জনবল বাড়াতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা-প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ, গ্রামাঞ্চলে আর্থিক সেবাখাতের পরিধি বিস্তার, কৃণিষ প্রযুক্তর সম্প্রসারণ, বিদ্যুতায়ন, গ্রামিণ অবকাঠামো ও যোগাযোগ-ব্যবস্বার উন্নয়ন ইত্যাদি গ্রামোন্নয়ন প্রয়াসকে তত্বরান্বিত করেছে। প্রবাসিদের পাঠানো অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি গ্রামীণ অর্থনীতির এই বিকাশ প্রক্রিয়ায় সহায়ক হয়েছে।
গ্রামিণ অবকাঠামো নির্মাণ, গ্রামীণ পরিবহন ও যোগাযোগ এবং গ্রামিণ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গ্রামীণ পরিবারে আয় ও কর্মসংস্থান বেড়ে চলেছে। মন্ত্রী বলেন, সরকার আমার গ্রাম-আমার শহর অঙ্গীকারটি বাস্তবায়নে সরকার কিছু পরিকল্পনা-ও হাতে নিয়েছে, এগুলোর মধ্যে উন্নত যোগাযোগ, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরের সকল সুবিধাদি প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রামে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ আরও বাড়ানো ও নির্ভরযোগ্য করার লক্ষ্যে গ্রæপভিত্তিতে বায়োগ্যাস প্লান্ট ও সৌরশক্তি প্যানেল বসানোর উৎসাহ ও সহায়তা দেওয়া হবে।
গ্রাম পর্যায়ে কৃষিযন্ত্র সেবাকেন্দ্র, ওর্য়াকশপ ম্থাপন করে যন্ত্রপাতি মেরামতসহ গ্রামিণ যান্ত্রিকায়ন সেবা সম্প্রসারণ করা হবে এবং গ্রামীণ যুবক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান করা হবে। অকৃষি খাতের এসব সেবার পাশাপাশি হাল্কা যন্ত্রপাতি তৈরি ও বাজারজাত করতে বেসরকারি খাতের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তদের ঋণ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।
এবাদুল করীমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অপসারণ এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি, ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রামকে আধুনিক প্রক্রিয়ায় বর্জ্য স্থাপনের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব কার্যক্রম সস্পন্ন হলে বর্জ্য নিয়ে আতংর্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আবদুল মান্নানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাটির প্রকারভেদে কোথাও সড়ক নির্মাণে ব্যয় বেশি হয়, কোথাও কর্ম হয়। তবে, ভবিষৎতে সড়কের টেকসই নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :