জাবের হোসেন: টঙ্গী থেকে গাজীপুর ১২ কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগার কথা কিন্তু লাগছে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। কখনো কখনো তিন চার ঘণ্টাও লেগে যায়। বছরগুড়েই দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। এক কথায় গাজীপুরবাসীর জন্য গলার কাঁটা এই মহাসড়ক। একসময় অবৈধ দখলে রাস্তা সরু থাকার কারণে যানজট হলেও এখনকার বিষয়টি উন্নয়নের বিড়ম্বনা বলছেন এ পথে চলাচলকারীরা। সময়টিভি
পথচারীরা বলেন, ১৫ থেকে ২০ মিনিট এর রাস্তা এখন সময় লাগে ৩-৪ ঘন্টা। ধুলার কারণে রাস্তায় হাটতে পারি না, চোখে কিছুই দেখা যায় না। আমরা স্বাস্থঝুঁকিতে আছি। এছাড়া নানা বিড়ম্বনায় আছেন গাজীপুর নগরবাসী। ধুলায় বিবর্ণ এখন এই মহাসড়কের আশপাশ এলাকা। স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে, সেই সঙ্গে প্রকল্প এলাকায় চলাচলের বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি এখন তাদের নিয়তি। নগরবাসী কিংবা এই পথে চলাচলকারীদের এমন দশায় অস্বস্তিতে স্থানীয় মেয়রও।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যে রাস্তায় চলাচলে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগার কথা সে রাস্তায় প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে ২-৩ ঘণ্টা। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা প্রায়ই যোগাযোগ করছি কিন্তু তাতে কোন লাভ হচ্ছে না।
যদিও প্রকল্প পরিচালকের দাবি দুর্ভোগ আগের চেয়ে কমে এসেছে। প্রকল্প পরিচালক মো. সানাউল হক বলেন, এই ভোগান্তি নিরসনের জন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের ঠিকাদারের কিছু ঘাটতি আছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। ২০২০ সালের জুন নাগাদ গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :