জাবের হোসেন: আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের গাছে গাছে ছেয়ে গেছে মুকুল। শীত বিদায়ের আগেই আম বাগানগুলোতে আসছে মুকুল। এ বছর কম শীত-কুয়াশা ও মাটির গুণাগুণে প্রায় এক মাস আগেই বাগান ভরে উঠেছে জনপ্রিয় লখনা, আমরুপালি, ল্যাংড়াসহ আড়াইশো জাতের আমের মুকুলে। আর কীটপতঙ্গ থেকে মুকুল বাঁচাতে ব্যস্ত সময় পার করছে বাগানিরা। সময় টিভি
চাঁপাইনবাবাগঞ্জের ২৯ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের উৎপাদনের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। শুষ্ক মৌসুমে মাটি ও পানি দিয়ে বাড়তি যত্ন চলছে দিগন্ত বিস্তৃত আমের বাগানগুলোতে। বাগানিরা বলেন, এখন আমরা বাগানের যতœ করছি। বিষ দিচ্ছি, স্প্রে করাচ্ছি যেন পোকা-মাকড় না ধরে। মুকুল কিছু বের হচ্ছে আর যেগুলো বের হয়েছে এগুলোর পরিচর্যা করছি।
জলবায়ুর গুণে আগাম মুকুলে আম পাওয়া যাবে স্বাভাবিক সময়ের আগে। তাই বাগানিরা বলছেন, জুন-জুলাইয়ে আম নামানোর সরকারি সময় নির্ধারণ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যবসায়ী-বাগানি উভয়ে। বাগানিরা বলেন, মুকুল সময়ের আগে যেহেতু আসছে আমও সময়ের আগে আসবে। সরকার নির্ধারিত সময় বেধে দিলে, আমরা সে সময়ের মধ্যে বাজারজাত করতে পারি না। আম গাছে পেকে নষ্ট হয়ে যায়।এতে আমাদের ক্ষতি হবে ।
আগাম মুকুলের যত্নের ব্যাপারে পরামর্শের পাশাপাশি আম নামানোর সময় নিয়ে সতর্ক আছেন বলে জানান চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কৃষকরা যাতে সঠিকভাবে আম হার্ভেস্ট এবং বাজারজাত করতে পারেন সে জন্য আমাদের সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :