রবিন আকরাম: দুদকের মামলায় বিনাদোষে ৩ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে জাহালম দুদকের বিচার দাবি করেছেন৷ প্রশ্ন উঠেছে– মামলায় নাম না থাকার পরও দুদকের তদন্তকারীরা কিভাবে জাহালমকে চার্জশিটভুক্ত করল?
এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট অমিত দাসগুপ্ত বলছেন, মামলার তদন্ত হয়েছে৷ কিন্তু সঠিক তদন্ত হয়েছে কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন৷ এখানে তদন্তে অবহেলা থাকতে পারে৷ আবার উদ্দেশ্যমূলকভাবে জাহালমকে জড়িয়ে প্রকৃত আসামিকে আড়াল করারও চেষ্টা থাকতে পারে৷ সেটাই এখন তদন্ত করে দেখার বিষয়৷ তথ্য- ডয়চে ভেলে
তিনি বলেন, এখন দেখার বিষয়- ব্যাংক প্রকৃত তথ্য সরবরাহ করেছে কিনা, প্রকৃত অপরাধীরা কৌশলে নিরপরাধ ব্যক্তিকে ফাঁসিয়েছে কিনা। এই মামলায় প্রকৃত আসামি এখনো চিহ্নিত হয়নি৷ তারা আবু সালেককে জাহালম মনে করে চার্জশিট দিয়েছে৷
মামনবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান বলছেন, জাহালম যে বিনা অপরাধে তিন বছর জেল খেটেছেন তার দায়-দায়িত্ব দুদককেই নিতে হবে৷ কারণ, তারা একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে৷ সঠিক তদন্ত করেনি৷ তাই এই তদন্তের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, দুদকের সেই তদন্ত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে আর কেউ জাহালমের মতো পরিণতি বরণ না করেন৷
উল্লেখ্য, সোনালি ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামে একজনের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা হয়৷ এর মধ্যে ২৬টিতে জাহালমকে আসামি আবু সালেক হিসেবে চিহ্নিত করে অভিযোগপত্র দেয় দুদক৷ ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের এসব মামলায় জাহালমকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ জাহালম নরসিংদির একটি পাটকলের শ্রমিক৷ মামলার তদন্ত পর্যায়ে জাহালম দুদকের নোটিশ পেয়ে দুদক কার্যালয়ে কয়েকবার হাজির হয়ে জানান, তিনি জাহালম, একজন পাটকল শ্রমিক, তিনি আবু সালেক নন৷ তারপরও দুদক তাকে রেহাই দেয়নি৷ সরেজমিন তদন্তও করেনি৷ ঠিকানা দেখেই জাহালমের নামে চার্জশিট দিয়েছে৷
আপনার মতামত লিখুন :