ব্রাত্য রাইসু : অনেকে আমাদের সুবিধাবাদী রাজনীতিকদের পতিতাদের সঙ্গে তুলনা করেন। আমি এটাকে খুবই আপত্তিকর ও পতিতাদের জন্য অপমানজনক মনে করি। পতিতারা কোনো সুবিধা নেয়ার জন্য দেহদান করেন না, বেঁচে থাকার জন্য দেহদান করেন; আর আমাদের রাজনীতিবিদেরা সর্বস্ব দান করে সুবিধার জন্য। তারা চরিত্রহীন, পতিতারা চরিত্রহীন নয়। Ñ হুমায়ুন আজাদ
হুমায়ুন আজাদের সঙ্গে ভিন্নমত রাখা যাক : সুবিধা নেওয়ার জন্য পতিতাদের দেহদান করতে হয় অনেক সময়। পুলিশ, দালাল ও প্রভাবশালীদের কাছে। তবে সেও বেঁচে থাকারই অংশ। রাজনীতিবিদরা দেহদান করেন না তেমন একটা, বরং বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ দেহদান করছেনÑ যেমন ড. আহমদ শরীফ। তবে এই দেহদানকে পতিতাদের দেহ ভাড়া দেওয়াকে যে অর্থে দান বলা হয় তেমনভাবে দেখা যাবে না। তার দেহ আর ফেরত পাওয়া যায়নি। পতিতারা কিছু সময়ের জন্য নিজের দেহ ফিরে পেয়ে থাকেন। পতিতারা অবশ্যই চরিত্রহীন। চরিত্রের যে মাপকাঠি তা দিয়েই চরিত্র বিচার করতে হবে। যে নারী বা পুরুষ একাধিক লোকের সঙ্গে দেহসঙ্গ করেন তাকে চরিত্রহীন বলবার রীতি আছে। সেটি ভদ্রবাড়ির মেয়েছেলেরা করলে চরিত্রহীনতা যেহেতু পতিতাদেরও একই ব্যাপার। তবে পতিতার চরিত্র বিচারের দরকার পড়ে না। কারণ পতিতাদেরকে লোকে সমাজের বাইরে অস্পৃশ্য করে রেখেছে।
হুমায়ুন আজাদ সুবিধাবাদী রাজনীতিকদের খারাপ দেখানোর জন্য এমন বলেছেন মনে করি। ব্যাপার হলো রাজনীতিক বললে আর সুবিধাবাদী বলার প্রয়োজন পড়ে না। সুবিধা আদায় করার নামই রাজনীতি। সুবিধা আদায় করা, লবিং করা রাজনীতিক কাজ হিসেবে খারাপ নয়। রাজনীতিকের কাজই হলো নিজের ও দলীয় লোকদের সুবিধা আদায় করা। দুর্নীতির হিসাবটা ভিন্ন। সুবিধায় দোষ নেই। আর এতো চরিত্র দিয়ে কী হবে! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :