শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৪৯ সকাল
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধর্ষণ একটি মানসিক প্রবণতা এবং বিকৃত রুচির বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন ড. জিনাত হুদা

সৌরভ নূর : একটি পত্রিকার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে গত এক মাসে ত্রিশ জনেরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। যদিও ধর্ষণ নিয়ে এখন সোচ্চার সবাই। পত্র-পত্রিকায় এতো লেখালেখি, আন্দোলন, প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগসহ বিভন্ন পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও দিন দিন ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, উপযুক্ত বিচার এবং শাস্তি নিশ্চিত না করার কারণে অপরাধীরা বারবার ধর্ষণের মতো অপরাধ করার সাহস পায়। ধর্ষণ একটি মানসিক প্রবণতা এবং এক ধরনের বিকৃত রুচির বহিঃপ্রকাশ।
এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, আমরা এখন বৈশ্বয়িক যুগে বসবাস করছি। যেখানে তথ্য-প্রযুক্তির মাধম্যে ভিনদেশি সংস্কৃতির অবাধ বিচরণ হচ্ছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায়। ভিন্ন দেশীয় বিভিন্ন ক্রাইম পেট্রোল, পর্নোগ্রাফি, এডাল্ট সিনে ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন টিভি শো এখন খুবই সহজলভ্য। যেগুলো আমাদের কট্টরবাদী মানসিকতায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে। যেমন টিভি সিরিয়াল ‘ক্রাইম পেট্রোল’ নির্মাণের উদ্দেশ্য মানুষকে সচেতন করা। কিন্তু অনেকেই সেই দৃশ্যকে নিজের মতো করে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন। অপরদিকে স্বল্প পোশাকের মডেল ও অবৈধ সস্পর্ক সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের সৃষ্টি করছে। এছাড়া এগুলোর কোনোটাই মুক্ত মনে মেনে নেয়ার মতো মানসিকতা আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় নেই। কিন্তু এগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে ঢুকে যাচ্ছে আমাদের মনোজগতে। ফলে ধর্ষণ, খুন, সুইসাইডের মতো অনঅভিপ্রেত ঘটনাগুলো বেড়েই চলেছে আমাদের সমাজে। তার মানে এটাও না যে, নারীরা অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এসব ঘটনা আগেও ঘটেছে এবং সেটা পরিবারের অন্তরালে থেকে গিয়েছে। কিন্তু এখন সেটা প্রকাশ হচ্ছে, অনেক সময় আপরাধীরা শাস্তিও পাচ্ছে। কিন্তু একটা সময় ছিলো যখন নারীরা এগুলো প্রকাশ করার চিন্তা করতে পারতো না। এছাড়া নারীরা এখন নিজেরাই কথা বলে সোচ্চার হচ্ছেন। আবার এরই মধ্য দিয়ে নারীর প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
তিনি মন্তব্য করে বলেন, শুধু আইন দিয়ে এই বিষয়গুলোকে রুখে দেয়া সম্ভব নয়। এর সাথে জড়িয়ে আছে নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ এবং পারিবারিক শিক্ষা। অন্যদিকে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সকল অনলাইন মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে। কেননা সেখানে কু-রূচিপূর্ণ উপাদানের ছড়াছড়ি যা আমাদের মস্তিষ্ককে উত্তেজিত ও প্রভাবিত করে এবং এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ সংগঠিত করতে সাহস যোগায়। এ ধরনের অপরাধ থেকে মানুষকে সরিয়ে আনতে চিহ্নিত ব্যক্তিদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পাশাপাশি বিপুল অংকের অর্থনৈতিক জরিমানা করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়