আব্দুস সালাম : বাঘের আক্রমনে নিহত পুরুষদের স্ত্রীরা অপয়া, তাই তাদের স্থান সমাজের বাইরে এবং তাদের সন্তারাও পাবেনা সমাজিক স্বীকৃতি। গেল আঠারো বছর ধরে এমন ব্যবস্থা চলে আসছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এ কারণে একহাজার পঞ্চাশ জন নারী একঘরে জীবন যাপন করছে দীর্ঘদিন ধরে। সূত্র : একাত্তর টিভি
স্থানীয় একজন বৃদ্ধার সাথে কথা বলে জানা যায়, তার স্বামী বাঘের কামড়ে মারা গেছে দেড়যুগ আগে। হয়েছেন বাঘ বিধবা, তাই সমাজের বাইরে একঘরে জীবন যাপন করছেন তাঁরা। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে বাঘের কামড়ে প্রাণ যাওয়া পুরুষদের স্ত্রীকে মনে করা হয় অপয়া । কুসংস্কারের কারণে শশুরবাড়ী কিংবা প্রতিবেশী কারো কাছে ঠাঁই হয়না এই বিধবাদের।
একজন বিধবার ছেলে বলেন তার বাবা মাছ ধরতে গিয়ে বাঘে খেয়ে ফেলে, এরপর থেকে স্থানীয় মানুষ আর তাকে কাজে নেয় না।গ্রামে ঠাঁই মিলেনি, তাই বাধ্য হয়ে বসবাস করছেন সেখানকার সরকারি জায়গা গুলোতে,সন্তানরাও সমাজ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কাথাও কাজ মিলেনা তাদের।
সেখানকার এক বিধবা বলেন আমরা খুব আসহায়, আমাদের কেউ সাহায্য করেনা। যদিও এদের সরকারি বরাদ্দের জন্য দাবি করেছেন মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, তিনি বলেন ওই বিশেষ গোষ্ঠীকে আমাদের সমাজের সামনে তুলে ধরতে হবে ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কুসংস্কার বিশ্বস না করতে তাদের সচেতন করা হচ্ছে এবং সমাজের আট-দশটা মানুষের মত তারাও যেন জীবন যাপন করে সে জন্য সবাইকে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত শ্যামনগর উপজেলাতেই বাঘের আক্রমনে মারা গেছেন এক হাজারেরও বেশী বনজীবী।
আপনার মতামত লিখুন :