মারুফুল আলম : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেছেন, হতাশা থেকেই মানুষ আত্মহত্যা করে। হতাশার মূল উপাদানগুলো সোসাইটি থেকে আসে। সোমবার ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, মানসিক শক্তি এবং জীবন সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা আত্মহত্যা ঠেকাতে পারে।
তিনি বলেন, আত্মহত্যার ক্ল্যাসিকাল কারণগুলোর বাইরেও এখন বাংলাদেশে নতুন কিছু মাত্রা যোগ হয়েছে। ড্রাগ, রিলেশনশিপ বা পর্ণোগ্রাফি এসব আত্মহত্যার নতুন উপাদান। মানবিক এবং সামাজিক সম্পর্কের নতুন নতুন ধারা এবং মাত্রা আমাদের সমাজে প্রবেশ করছে।
তিনি আরো বলেন, সামাজিক সংহতি যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে বিচ্ছিন্নতায় ভোগে মানুষ। বিচ্ছিন্নতা থেকে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়। ফলে এক ধরনের মানসিক দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে, যা কাউকে গভীর হতাশায় নিমজ্জিত করে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত করছে।
ড. জিয়া বলেন, শেয়ার বাজারে পুঁজি হারিয়ে বা চাকরি চলে যাচ্ছে, এ অবস্থায়ও কেউ আত্মহত্যা করে। এর বাইরে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েও অনেকে আত্মহত্যা করে। পর্ণোগ্রাফির কারণেও তরুণদের মধ্যে রিলেশনশিপ ব্রেক হওয়া বা ম্যারেজ লাইফে প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
ড. জিয়া আরো বলেন, কেউ নিজের সন্তানকেও মেরে ফেলছে। এটাও আত্মঘাতি কাজ। অতিমাত্রায় কোনো অনুশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়াও আত্মঘাতির কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধর্মান্ধ ব্যক্তিদের মাঝেও এক ধরণের আত্মঘাতি প্রবণতা দেখা যায়। নিজের জীবনকে তুচ্ছ মনে করছে তারা।