শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:১৯ রাত
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেহমানের যতো কর্তব্য

আমেনা বেগম বিউটি : ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জন্মের শুরু থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যাবতীয় করণীয় বিষয়সমূহ সম্বন্ধে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ পাক এবং হাদিস শরীফে তাঁর রাসূল (সা.) সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মেহমানদারি ছিল আমাদের নবীজির (সা.) বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ফার্সি ভাষায় মেহমান মানে অতিথি আর মেজবান হচ্ছেন; যিনি অতিথিদেরকে আতিথেয়তা দিবেন। আজ আমরা ইসলামের নীতি অনুসারে মেহমান হিসেবে একজন মুসলিমের কর্তব্য এবং আদবসমূহ সম্পর্কে জানবো।

(১) কারো বাড়িতে মেহমান হিসেবে যেতে হলে মেজবানের শিশুদের জন্য কিছু হাদিয়া তোহফা নিয়ে যাওয়া উচিত। এতে করে বন্ধুত্ব ও সম্পর্কের অনুভূতি বৃদ্ধি পায়। (২) যার বাড়িতে মেহমান হিসেবে যাওয়া হোক না কেন তিনদিনের বেশি সময় অবস্থান না করার যথাসাধ্য চেষ্টা করা। প্রিয়নবী (সা.) এর হাদিস শরীফে এসেছে, কোনো মুসলিমের জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে তার ভাইয়ের কাছে এত বেশিদিন অবস্থান করে যে তাকে গুনাহে লিপ্ত করে। সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন, এটা কীভাবে? নবি (সা.) বললেন, মেহমান এতদিন অবস্থান করল যে তাকে খাওয়ানোর মত কিছু মেজবানের কাছে অবশিষ্ট থাকল না। (সহিহ মুসলিম)

(৩) শুধু অপরের মেহমান হওয়া শোভনীয় নয়, অন্যদেরকেও নিজের ঘরে আসার দাওয়াত দেয়া এবং আতিথেয়তার কমতি না করা উচিত। (৪) যার ঘরে মেহমান হিসেবে যাওয়া হবে তার কর্মব্যস্ততা ও দায়িত্বের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশেষ করে লক্ষ রাখতে হবে যে, নিজের কারণে তার কর্ম ব্যস্ততার জন্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয় এবং দায়িত্বে ব্যাঘাত না ঘটে।

(৫) মেজবানের নিকট কিছু দাবি করা যাবে না। তিনি মেহমানের সন্তুষ্টির জন্য স্বেচ্ছায় যে ব্যবস্থা করবেন তার ওপরই মেহমানের শুকরিয়া আদায় করা উচিত আর তাকে অনর্থক কষ্টে ফেলবে না। (৬) মেজবানের বাড়ির পুরুষদের অনুপস্থিতিতে ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী ঐ বাড়ির যে সব মহিলাদের সঙ্গে পুরুষের কথা বলা হারাম তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবে না বা কারো কথাবার্তা কান লাগিয়ে শুনবে না। (৭) কারো বাড়িতে যখন দাওয়াতে যাবে পানাহারের পর মেজবানের সম্পদ বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের উন্নতি, মাগফিরাত ও রহমতের জন্য দোয়া করবে।

রাসূল (সা.) একবার এক সাহাবির বাড়িতে গেলেন দাওয়াতে। সাহাবী রুটি ও জলপাই খাবার হিসেবে আপ্যায়ন করলে রাসূল (সা.) তা খেয়ে সাহাবিকে এই দোয়া করলেন, ‘তোমাদের নিকট রোজাদারগণ ইফতার করুক! সৎ লোকেরা তোমাদের খাদ্য খাক! আর ফেরেশতাগণ তোমাদের জন্য মাগফিরাত ও রহমতের দোয়া করুক।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়