সাইদ রিপন : একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ভোট আগামী ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন দাখিল ১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার, যাচাই বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি এবং প্রত্যাহার ১৬ ফেব্রুয়ারি। রোববার বিকাল তিনটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে তার সভা কক্ষে কমিশনের ৪৫তম সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ এ কথা জানান।
সচিব বলেন, সংসদে মহিলাদের জন্য যেভাবে সংরক্ষিত আসন রয়েছে বাংলাদেশ আওয়াামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি ৪, বিএনপি ১, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি ও অন্যান্যদের মধ্যে স্বতন্ত্র তিনটি আসনের বিপরীতে একটি আসনে প্রাথী দিতে পারবে। বিএনপি শপথ নেয়ার পরে তারা প্রাথী দিতে পারবে। তারআগে সেই আসনটি স্থগিত থাকবে। আসনবণ্টন বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের জন্য কোনও নির্ধারিত নির্বাচনি এলাকা নেই। তারা কেবল দলীয় বা জোটের সদস্য হিসেবে পরিচিত হবে। এক্ষেত্রে দল বা জোটের প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে মহিলা আসন বণ্টিত হবে।
সংবিধান অনুসারে বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা ৫০টি। এই ৫০ সংখ্যাকে ৩০০ (দেশের নির্বাচনি এলাকা) দিয়ে ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যাবে তাকে কোনও দল বা জোটের যে সংখ্যক সদস্য শপথ নিয়েছেন তা দিয়ে গুণ করলে যে ফল পাওয়া যাবে, সেই সংখ্যক মহিলা সদস্য হবে ওই দল বা জোটের। গুণফল ভগ্নাংশ হলে সেক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৫ বা তার থেকে বেশি সংখ্যকের জন্য একটি আসন পাওয়া যাবে। অবশ্য এক্ষেত্রে বণ্টিত আসন সংখ্যা মোট আসনের থেকে বেড়ে গেলে ভগ্নাংশের হিসাবে হেরফের হতে পারে। আইনে কোনও কোনও ক্ষেত্রে লটারির বিধানও রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :