জিয়ারুল হক : ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বিআরটিসির লোকশান ১০১ কোটি ৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। গণ পরিবহন বিশ্লেষক অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, বিআরটিসির অভ্যন্তরিন দুর্বলতা এবং দুর্নীতির কারণেই এই অবস্থা। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভ।
বিআরটিসির হিসাবে গত বিশ বছরে দেড় হাজার গাড়ি কিনলেও লোকশান কমছে না সংস্থাটির। টানা লোকশানের কারণে কর্মচারিদের বেতন দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। কর্মচারিদের দাবি এক দুইমাস করে সাত মাসের বেতন বকেয়া হয়েছে এ রকম হলে আমরা চলবো কিভাবে। তাদের দাবি উর্ধতন কর্মকর্তাদের অব্যবস্থাপনাই এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে। পরিবহণের রক্ষনাবেক্ষণের অব্যবস্থাপনাতে কর্মকর্তাদের উপর ক্ষুদ্ধ কর্মচারিরা। তাদের দাবি যেখানে ডেমারেজ দেয়া দরকার সেখানে ডেমারেজ দেয়া হচ্ছেনা। অথচ ড্রাইভারদের ঠিকই জরিমানা করা হচ্ছে। কর্মচারিরা বলেন, বিআরটিসিতে শুভঙ্করের ফাঁকি চলছে।
প্রতিদিন সকালে অফিসগামী মানুষের ভোগান্তিই বলে দেয় রাজধানীতে পরিবহন সংকটের কথা। এই সংকটের কাঙ্খিত সমাধান হতে পারতো বিআরটিসির বাস। কিন্তু সরকারি এই পরিবহণ সংস্থার সেবা নিয়ে জনমনে আছে অসন্তোষ। যাত্রীরা বলেন, এক ঘন্টা পর একটি গাড়ি আসে জনগণ কোনো সেবাই পাচ্ছিনা বিআরটিসি থেকে। তাদের দাবি গ্যারেজে যে গাড়িগুলো পড়ে আছে সেগুলো মেরামত করে রাস্তায় নামালে আমাদের ভোগান্তি কমতো এবং পরিবহণের সিন্ডিকেট থাকতো না।
বিআরটিসির দাবি নতুন বাস না আসাতে এই অবস্থা। সংস্থার চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আমার বহরে কোন নতুন গাড়ি আসেনি, কর্মকর্তা কর্মচারির বেতন ডাবল, তাহলে ঘাটতি কিভাবে মেটাব। তিনি বলেন নতুন কেনা ছয়শটি বাস ভারত থেকে পর্যায়ক্রমে আসতে শুরু করেছে। নতুন বাসগুলো আসলে বিআরটিসির সেবার মান বাড়ানো যাবে এবং ঘাটতি কমানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেণ।
আপনার মতামত লিখুন :