শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:৩৬ সকাল
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি এলেই কেবল শহীদ মিনারের কদর বাড়ে : অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম

জিয়ারুল হক : স্মৃতির আয়না শহীদ মিনার । শহীদদের রক্তের প্রতিফলন থাকবে সেখানে। কিন্তু কোথায় ! সারা বছর থাকে ভবঘুরেদের আখড়া। বছর ব্যাপি পরিত্যক্ত পড়ে থাকে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার নাম গন্ধ থাকেনা। শুধু একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই শহীদ মিনার পরিস্কার করা হয়, তাও এক রাত্রির জন্য। র্ফেরুয়ারি এলেই কেবল শহীদ মিনারের কদর বাড়ে। বলছিলেন ভাষাসংগ্রামী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। সূত্র : চ্যানেল আই।

সারাদেশে আছে কয়েক হাজার শহীদ মিনার। এছাড়া আছে কিছু স্মৃতি জাদুঘর, সংগ্রহশালা, বাংলা একাডেমিতে আছে ভাষা জাদুঘর, আছে ভাষা শহীদদের আবহ ভাস্কর্য ‘মোদের গড়ব’। রাজধানীর পরিবাগে ভাষাসংগ্রামে মায়ের আত্মত্যাগের স্মৃতি নিয়ে গড়ে উঠেছে জননী ও গর্বিত বর্ণমালা। একুশের চেতনা নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে অমর একুশে। ভাষা শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় এরকম উদ্যোগ আছে অনেক। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাঈর উপজেলার পারি গ্রামটির নামকরণ করা হয়েছে রফিক নগর। সেখানে রয়েছে শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ স্মৃতি জাদুঘর। শহীদ আব্দুল জব্বার স্মৃতি জাদুঘর আছে ময়মনসিংহের গফর গাঁওয়ে। ভাষা শহীদ আব্দুস সালামের নামে ফেনীর দাগন ভুঁইয়া উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের নাম করণ করা হয়েছে সালাম নগর।

গবেষকদের দাবি দেশে শহীদদের স্মরণে স্মৃতি স্থাপনা, জাদুঘর ও সংগ্রহশালার পরিমান যেমন কম, তেমনি এগুলো সারা বছর পড়ে থাকে অযত্ন অবহেলায় । এ বিষয়ে ভাষা আন্দোলণ গবেষক এম আর মাহবুব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্ব ছিলো ভাষা আন্দোলণ। ঢাকায় এরকম খুবই গুরুত্বপুর্ণ স্মারক রয়েছে, ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে সেগুলো সংরক্ষিত হয়নি । সরকারের উচিত এই স্মারকগুলো সংরক্ষণ করা। একই সঙ্গে সকল শহীদ মিনার, স্মৃতি জাদুঘর, সংগ্রহসালার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করলে সংরক্ষিত হবে আমাদের গৌরবজ্জল ইতিহাস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়