মারুফুল আলম : এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে সংশোধন আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমানো হবে বলে আভাস দিয়েছেন তারা। ডিবিসি নিউজ। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর থাকায় সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ভোটের আগে দেশে ফিরলেও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালেই ছিলেন বেশিরভাগ সময়। শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে ২০ জানুয়ারি আবারো সিঙ্গাপুর গেছেন তিনি। সেখানে কখনো সুস্থ বোধ করেন, আবার কখনো বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। তার অবর্তমানে দল কীভাবে চলবে, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তারা।
জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে ২০ এর ‘ক’ ধারায় চেয়ারম্যানকে সিদ্ধান্ত নেয়ার একক ক্ষমতা দেওয়া আছে। এইচ এম এরশাদের অবর্তমানে এই ধারাটি সংশোধন করার পরিকল্পনা চলছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আমাদের গঠনতন্ত্রের ২০ ধারায় চেয়ারম্যানকে অসম্ভব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষমতা এইচ এম এরশাদের জন্য প্রযোজ্য ছিলো, কিন্তু ওনার জায়গায় অন্য কেউ হলে এই ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে। সেই কারণে আমার কাছে মনে হয়, এই ২০ ধারার পরিবর্তন আনা দরকার। তাহলে ব্যাপারটা আরো গণতান্ত্রিক হবে।
তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রেসিডিয়াম গঠনতন্ত্র সংশোধনের উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ।
ফিরোজ রশিদ বলেন, এইচ এম এরশাদের অবর্তমানে দল কীভাবে চলবে সেই গাইডলাইন কিন্তু তিনি রেখে গেছেন। গাইডলাইনটা হলো ঐক্যবদ্ধভাবে চালানো। এরশাদ সাহেবের মতো ওই স্তরের নেতা কেউ নেই যে, একক সিদ্ধান্তে দল চলবে। তবে, এ বিষয়ে সিনিয়র নেতারা বসে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দল চালানো হবে বলে জানান তিনি। এদিকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে এক চিঠিতে দলের কো-চেয়ারম্যান ছোটভাই জি.এম কাদের তাঁর অবর্তমানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন বলে ঘোষণা করেন এইচ এম এরশাদ।
আপনার মতামত লিখুন :