হ্যাপি আক্তার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। সবার কাছে খাদ্য পৌঁছে দিতে ব্যবস্থা নিয়েছি। রোববার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদনে কৃষকদের ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। ভেজাল বিরোধী অভিযান আরো জোরদার করা হবে। ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভেজাল খাবার বিরুদ্ধে সমাজের মানুষকে সচেতন হতে হবে। বিষ ক্রিয়ায় দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হোক তা আমরা চাই না। খাদ্যে ভেজাল দেয়া এটি আমাদের দেশের কিছু কিছু মানুষের চরিত্রগত বদঅবভাস, তা ছাড়া আর কিছুই না। এটি বন্ধ করতে হবে। যদিও ভেজাল বিরোধী অভিযান চলছে তবে এটিকে আরো ব্যাপকভাবে করার জন্য আলাদাভাবে কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযানে সফল্য অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন করেছে। এরপর এটি বাস্তবায়নে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে। তারা বিভিন্নভাবে কার্যকর পরিচালনা করে আসছে। দেশে ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদের সক্ষমতা আছে। লক্ষ্য ২৭ লাখ মেট্রিক টনে নিয়ে যাওয়া। অভুক্ত কেউ থাকলে খুঁজে বের করুন, যত বরাদ্দ দরকার দেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :