চারু হক : ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত’ বুলিতে বিশ্বাসী অনেকে মনে করেই আর যাই হোক আগের চেয়ে সীমান্তে মানুষ হত্যা হ্রাস পেয়েছে, ভারতের আচরণ মানবিক করে তুলতে সরকার সাফল্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। ভ্রান্ত এ ভাবনার পেছনে কারণ হচ্ছে, গুম, খুন, ধর্ষণ আর দুর্নীতির মতো সীমান্তহত্যা প্রাত্যহিক ঘটনায় পরিণত হওয়ায় মিডিয়া ও মানুষের কাছে এটা অনেকটা গা সওয়া হয়ে গেছে, বাদ-প্রতিবাদ তুলনামূলক তাই কমে যাচ্ছে দিনে দিনে। যেমন : মাত্র ১০ দিনে শুধু ঠাকুরগাঁ সীমান্তেই ৩ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও ৩১টি জেলা-সীমান্তে আরও কতোজন খুন হচ্ছে সে হিসেব হয়তো খরচের খাতায় লিপিবদ্ধ আছে। কিন্তু এ ঘটনায় কী স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বরাতে কোনো প্রতিবাদলিপি পাঠ করা হয়েছে? যদিও দুনিয়া তোলপাড় করা ফেলানী হত্যার নির্মম ছবিটার মতো আরেকটি খুন পূর্বক বর্বরতার ঘটনা ঘটানো হয়েছে, এক শিশুকে হত্যা করে প্রদর্শনের জন্য কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং ফেলানী হত্যার বিচার আদায়ে ব্যর্থ বাংলাদেশ এ অপরাধকেও মুখ বন্ধ মৌনতায় নির্বিবাদ মেনে নিয়েছে। এটাই যদি একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রতি আরেকটি রাষ্ট্রের নিয়মিত আচরণ হিসেবে মেনে নেয়া হয়, সেক্ষেত্রে অন্তত লাল সবুজ পতাকার লাল বৃত্তে রক্তঋণের এ ছবিটা তো সেঁটে দেয়া যায়। ফেসুবক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :