অনলাইন ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় শুরু হয়েছে ৪৩তম আন্তর্জাতিক বইমেলা। এবারও কলকাতা বইমেলার ঠাঁই কলকাতা শহরে হয়নি। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে বৃহস্পতিবার এ বইমেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
এদিকে কলকাতার ময়দান থেকে বইমেলাকে সরিয়ে দেয়ায় কঠোর সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের নির্বাসিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। শুক্রবার রাতে এ নিয়ে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু পাঠকদের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো-
ওই বই মেলায় উপস্থিত ছিলেনবি শিষ্ট সাহিত্যিক শংকর, চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী, কলকাতর নতুন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কলকাতা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি শুধাংশু শেখর দে, গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘কলকাতার ময়দান থেকে বইমেলাকে সরিয়ে দিয়ে বইমেলার সর্বনাশ করা হয়েছে। মানুষ আজকাল বই পড়ছে না, বাংলা বই তো আরও পড়ছে না, এমন সময় বইমেলাকে চোখের আড়াল করে দেয়া মানে সামান্য যেটুকু পড়ার উৎসাহ মানুষের ছিল, সেটুকুকেও কফিনে ঢুকিয়ে দেয়া।’
তিনি আরও লেখেন, ‘ময়দান আর্মিদের। আর্মিরা নাকি মনে করে বইমেলায় দূষণ হয় খুব, সে কারণে ময়দানে বইমেলা বন্ধ। আর্মিদের যা কিছু মনে করার অধিকার আছে। কিন্তু যারা আর্মি নয়, তাদের তো আর্মিদের জানিয়ে দিতে হবে যে, বইমেলা ময়দানেই হবে, কারণ বইমেলা ময়দানের। ময়দান কী নিয়ে গর্ব করবে যদি তার বইমেলাই না থাকে?’
গিল্ড ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় কলকাতার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ৪৩তম বইমেলা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। এবারের কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি গুয়াতেমালা। মেলা চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।
ওই দিন বিকালে প্রধান অতিথি হিসাবে মেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতে নিযুক্ত গুয়াতেমালার রাষ্ট্রদূত জিয়োবান্নি কাসতিলো ও গুয়াতেমালার বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক এউদা মোরালেস।