সালেহ্ বিপ্লব : গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (আইএনএফ) চুক্তি বাতিল করা হবে। অবশেষে তিন মাসের মাথায় ট্রাম্পের সে ঘোষণা কার্যকর করলো যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও ১৯৮৭ সালে সই হওয়া চুক্তিটি বাতিলের কথা জানান। ন্যাটো যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। একই সঙ্গে চুক্তিতে ফিরে আসার জন্য রাশিয়াকে ছয়মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সিএনএন। নিউইয়র্ক টাইমস।
পম্পেও বলেন, অনেক বছর ধরেই রাশিয়া এই চুক্তির শর্তগুলো লংঘন করে আসছিলো। নির্লজ্জভাবে চুক্তিভঙ্গের মধ্যদিয়ে ইউরোপ ও আমেরিকার লাখ লাখ মানুষকে বড়ো ধরনের ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে রাশিয়া।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকেই আমেরিকা এই চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চুক্তির শর্ত ভেঙ্গে রাশিয়া মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সোজাসাপটা বলে দেন, রাশিয়া যদি চুক্তির শর্তে ফিরে না আসে, তাহলে চুক্তিটি বাতিল করার কোন বিকল্প নেই যুক্তরাষ্ট্রের।
ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস বা আইএনএফ নামের এ চুক্তিটি ১৯৮৭ সালের ৮ ডিসেম্বর সই করেছিলেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। ওই চুক্তির মাধ্যমে ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়।
স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর পর এই চুক্তিটি ইউরোপের শান্তিপ্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিলো। যুক্তরাষ্ট্র আইএনএফ চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার ফলে ইউরোপে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে শংকা দেখা দিতে পারে, বিশ্লেষকরা এমনই আশংকা করছেন।
কিন্তু চুক্তিটি বাতিলের পক্ষে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে যুক্তরাষ্ট্র আগেই বলেছে, এ পরিস্থিতির জন্য রাশিয়াই দায়ী। চুক্তি ভঙ্গ করে রাশিয়া নতুন মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নভেটর ৯এম৭২৯ তৈরি করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছে এসএসসি-৮ নামে পরিচিত।
আপনার মতামত লিখুন :