শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৭:৩২ সকাল
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৭:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরোধী হলে আপনাকে মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে, পিটিয়ে হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে

আলী রীয়াজ, ফেসবুক থেকে : আপনার হাতে মিডিয়া আছে – গণমাধ্যম কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া; আপনি তাই দিয়েই বিচার করছেন। যার হাতে রাষ্ট্র সমর্থিত অস্ত্র আছে সে বিচার করছে অস্ত্র দিয়ে, কয়েকজন একত্র হয়ে একজনের বিরুদ্ধে শক্তি দেখানোর সুযোগ মিলেছে তাঁরা সেটাই করছেন ঐ ব্যক্তির ওপরে – এগুলোকে বলে ‘ট্রায়াল বাই মিডিয়া’, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মব জাস্টিস বা পিটিয়ে হত্যা। আর তার সঙ্গে যদি মিডিয়া ট্রায়ালকে বেশ ‘রসালো’ করা যাবে তাহলে আর এই সুযোগ কে ছাড়ে; যদি বিচারবহির্ভূত হত্যাকে রাষ্ট্রের স্বার্থে, দেশপ্রেম বা সমাজ রক্ষার হাতিয়ার বলে দাবি করা যায় তবে তাকে সমর্থন করার লোকের অভাব হয় না; পিটিয়ে হত্যার জন্যে যদি আক্রান্তকে অপরাধি বলে একবার উঁচু গলায় বলতে পারেন তাহলেই হলো ।

এগুলো কি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়? এগুলো একই ধরনের বিষয় – নাগরিকের বিচার পাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার উপায়, সকলের সমতার ধারণা না থাকার বিষয় এবং উগ্রপন্থা অনুসরণের বিষয়। ‘ট্রায়াল বাই মিডিয়া’র উদাহরণ তো প্রতিদিনের ঘটনা। কে কী বলেছে তাঁর সঙ্গে আরেকটু রং চড়িয়ে দশজনকে জানান দিন। প্রমাণ না থাকুক আপনার রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি হবে অতএব হেনস্থা করুন। কে কীভাবে নাগরিকের কোন অধিকার হরণ কোরে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত আলাপচারিতা জোগাড় করেছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে, তাঁকে চ্যালেঞ্জ না করে বরঞ্চ ঐসব অডিও/ভিডিও টেপ কিংবা বর্ণনা তথ্য, সংবাদ বলে প্রচারের কাজে নেমে পড়ার ঘটনা বিষয়ে তো বিস্তারিত বলার দরকার হয় না। আমরা একটাতে অংশ নিয়ে অন্যটাকে বৈধতা দিচ্ছি; আপনি যদি বিচার বহির্ভূত হত্যার বিরোধী হন তবে আপনাকে মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে, আপনাকে পিটিয়ে হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।

এখানে সিলেক্টিভ হওয়ার সুযোগ আছে, কিন্ত সেটা নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য; একটা বিচার-বহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে কিন্ত আরেকটার পক্ষে যেমন আপনি হতে পারেন না, তেমনি আজকের মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধে কিন্তু আগামীকাল আরেক ঘটনায় পক্ষে তাও অনৈতিক। যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি-আমি একটা সুনির্দিষ্ট অবস্থান থেকে এই সবগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমার কথাগুলো মনে হবে স্বার্থপ্রনোদিত বা চমকদারির লোভ-প্রসূত। আর যদি নিতান্তই স্বার্থপরভাবে বিবেচনা করেন তবে বলি, আজকে আপনি মিডিয়া ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছেন কালকে আপনিই যে তার ভিক্টিম হবেন না তাঁর কোনো নিশ্চয়তা নেই, দুর্ভাগ্য হলে আপনি হয়তো অন্য যে দুটি বিষয় বললাম তারও শিকার হতে পারেন। আমি আশা করি আপনি তা হবেন না ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়